৩০ জুন দিনব্যাপী নানা আযোজনের মধ্য দিয় ঐতিহাসিক ১৬৮তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উদযাপিত হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার আমনুরা মিশনে । বীর শহীদ সিদু-কানহু চাঁদ-ভাইরো-ফুলমনি অন্যান্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং বেদিতে শ্র্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি লুইস টুডু। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ৩নং ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম লুৎফুল হাসান লুৎফর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী লেখক ও গবেষক মিথুশিলাক মুরমু, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিংগু মরমু, ন্যাশনাল এজেন্সী ফর গ্রিণ রিভ্যুলেশন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স্টেফান সরেন, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কর্নেলিউস মুরমু, ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মাসুদ পারভেজ, ডেভিড ধনাই হেমব্রম ও হরিদাস হেমব্রম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রদীপ হেমব্রম। আলোচনা সভা শেষে শহীদের স্মরণে ও তাদের আত্মত্যাগ বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন গান, কবিতা ও নাচের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তরা ঐতিহাসিক মহান সাঁওতাল বিদ্রোহ বা হুলের তাৎপরয তুলে ধরেন। সাঁওতালরা একত্রে হয়ে সেই সময়ে জোতদার, মহাজন, সুদখোর ও শোষক নিপীড়ক ইংরেজদের রিরুদ্ধে লড়াই করেন স্বাধীনতার জন্য। তাদের সেই আত্মত্যাগের মহিমা আজও আমাদের শিক্ষা দেয় শোষণকারীদের বিরুদ্ধে অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার বলে উল্লেখ করেন তারা।
তারা আরো বলেন, শত বছর পেরিয়ে আবারও শতবর্ষ ছঁতে বসেছে তবুও সাঁওতালদের শোষণ ও শোষকদের হাত হতে রক্ষা মেলেনি শুধু বদলেছে সেই সময়ের শোষকদের আর বর্তমানের শোষকদের কৌশল। তাই আবার সাঁওতালদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এই শোষণের ও দাসত্বের নতুন শিকল ছিড়ে বেরিয়ে আসার প্রত্যয় নিয়ে আজকের এই সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস তাৎপর্য ছড়িয়ে পড়ুক দিগ হতে দিগন্তে।