কোরবানির পশুর চামড়ার অতিরিক্ত সরবরাহ থাকলেও তা দেশ থেকে পাচার হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
শনিবার (১ জুলাই) ফরিদপুরে কোরবানির চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং নিত্যপণ্যের বাজার পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
দেশ থেকে চামড়া পাচার হচ্ছে কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিজিবি, জেলা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে। চামড়া যাতে কোনোভাবেই পাচার না হতে পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চামড়ার দাম প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব বলেন, ঈদুল আজহার সময় চামড়ার বেশি সরবরাহের কারণে দাম কিছুটা কম থাকে। কিন্তু, এই চামড়া যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ভালো দামে বিক্রি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা শুধু চায়না মার্কেটে চামড়া রপ্তানি করে থাকি। লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের সার্টিফিকেশন পেলে সব দেশই রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এতে চামড়ার বাজার চাঙ্গা হবে। ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পাবেন।
ফরিদপুরে কেন্দ্রীয় আড়ত না থাকায় এখানে চামড়া সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না, সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে তিনি বলেন, চামড়া নির্দিষ্ট স্থানে সংরক্ষণ না করে বাসা-বাড়ি আথবা আবাসিক এলাকায় রাখলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে। তাই, জেলা প্রশাসককে শহরের আশপাশে জায়গা বের করে চামড়া সংরক্ষণের জন্য একটি আড়ত নির্মাণের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
সিনিয়র সচিব গোয়ালচামট মোল্লাবাড়ি সড়কে মেসার্স ইলিয়াস ট্রেডার্স ও ইউনিস ট্রেডার্স এবং হাজী শরীয়ত উল্লাহ বাজারে চামড়ার আড়ত পরিদর্শন করেন। এছাড়া, নির্দিষ্ট দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে কি না, তা তদারকি করতে বেশকিছু দোকান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম এবং ফরিদপুর চামড়া ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জানে আলম উপস্থিত ছিলেন।