সিংড়া প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়ায় চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে প্রতিবেশী গ্রাম সম্পর্কে নানা আলাল হোসেন (৫৫) ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বলে শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসীর অভিযোগ। পরে নানাকে গণধোলাই দিয়েছেন স্থানীয়রা।
বর্তমানে শিশুটি সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় বাজারে তার বাবার দোকানে কাঁচা সবজি-তরকারি আনতে যায়। এ সময় প্রতিবেশী গ্রাম সম্পর্কে নানা আলাল হোসেন তাকে সিগারেট আনতে দেন। পরে বাজার থেকে ফেরার পথে সিগারেট নিয়ে তাকে (ধর্ষক আলাল) দিতে গেলে বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষক আলাল হোসেনকে বেধড়ক পিটুনি দেন শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসী। এদিকে ঘটনার পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) কুরবান আলী মোবাইল ফোনে বলেন, যতদূর তিনি জেনেছেন শিশু ধর্ষণের ঘটনাটির সত্যতা রয়েছে। ঝমঝমে বৃষ্টি আর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তের ভাতিজা ইটালী ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সবুজ হোসেন বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে তার চাচার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আর তার চাচাকে বেধড়ক পিটিয়ে হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান বলেন, মানসিকভাবে শিশুটি ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আর মহিলা ডাক্তারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তাছাড়া ফোনে প্রথমে জানানো হয়েছিল মেয়েটির গায়ে শুধু হাত দেওয়া হয়েছে। এখন ধর্ষণের অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্রঃ যুগান্তর।
প্রি-রা/শা