শনিবার | ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওয়াটারপ্রুফ ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স, এ দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কী

প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ নতুন স্মার্টফোন কেনার পর সেটির ব্যবহার নির্দেশিকায় ‘ওয়াটারপ্রুফ’ বা ‘ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স’ কথাটি লেখা থাকে। কখনো আবার নির্দেশিকায় লেখা না থাকলেও বিক্রেতারা এ সুবিধার কথা উল্লেখ করেন। তবে বেশির ভাগ ক্রেতাই এই দুটি আলাদা শব্দকে একই ভেবে থাকেন। শব্দ দুটির মাধ্যমে পানিরোধী–সুবিধা বোঝানো হলেও মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। ওয়াটারপ্রুফ এবং ওয়াটার

স্মার্টফোনে ওয়াটারপ্রুফ সক্ষমতা থাকলে তুলনামূলক বেশি সময় পানিতে ঝুঁকি ছাড়া থাকতে পারে। তবে নির্দিষ্ট সময় পর পানির কারণে ফোনের ক্ষতি হতে পারে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ফোন সঙ্গে নিয়ে সাঁতার কাটা বা স্কুবা ডাইভিং করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে, কোনো ফোন বা ইলেকট্রনিক যন্ত্রই দীর্ঘ সময় পানির নিচে ব্যবহার করা যায় না। অপর দিকে ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স লেবেল যুক্ত থাকলে বুঝতে হবে বৃষ্টির পানি বা পানির ঝাপটা লাগলে ফোনের ক্ষতি হবে না। তবে সাঁতার কাটলে বা স্কুবা ডাইভিং করলে ক্ষতি হবে।

ফোন ওয়াটারপ্রুফ বা ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স কি না, তা জানার উপায় রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রোটেকনিক্যাল কমিশনের নির্ধারিত আইপি রেটিং দেখে সহজেই ফোন কতটা পানি, ময়লা, ধুলাবালু নিরোধক, তা জানা যায়। এর জন্য আইপি ৬৭ এবং আইপি ৬৮ এই দুইটি রেটিং রয়েছে। এ রেটিংয়ের প্রথম সংখ্যা দেখে ধুলাবালু নিরোধক মান এবং দ্বিতীয় সংখ্যা দিয়ে পানিরোধক মান জানা যায়। ধুলাবালু রোধের জন্য সর্বোচ্চ মান ৬ এবং পানিরোধের সর্বোচ্চ মান ৮। আইপি ৬৮ মানের ফোনগুলো সাধারণত ওয়াটারপ্রুফ হয়ে থাকে। এটি পানির ৩০ মিটার গভীরে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে পারে। অপর দিকে আইপি ৬৭ মানের ফোনকে ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত পানির ১ মিটার গভীরে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে। সূত্র: প্রথম আলো

প্রি/রা/আ

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.