প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ শিশুশিল্পী থেকে বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তার অভিনয়ে অভিভূত হননি এমন মানুষ খুবই কম। স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এমনকি ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর তকমাটাও পেয়েছেন তিনি।
অভিনয়ের মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া এই অভিনেত্রীকে নিয়ে তার অনুরাগীদের একটি প্রশ্ন হলো- দীঘি হিন্দু না মুসলমান। কারণ, দীঘির মা অভিনেত্রী দোয়েল ইসলাম ধর্মের অনুসারী আর বাবা সুব্রত চক্রবর্তী হিন্দু ধর্মের অনুসারী। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঁকি দেয় কার ধর্ম বেছে নিয়েছেন দীঘি, বাবা নাকি মায়ের?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। তিনি বলেন, ‘অনেকের মধ্যে আমাকে নিয়ে এই প্রশ্নটি উঁকি দেয়। আমার বাবা চিত্রনায়ক সুব্রত হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। কিন্তু মাকে বিয়ের পর তিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। তারপর থেকে আমাদের পরিবার ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আমি, আমার ভাইও ইসলাম ধর্ম পালন করি। তবে আমি বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’
দীঘি কোন ধর্মের অনুসারী, জানা গেল
ছোটবেলায় একটি বিজ্ঞাপনে বাবার কাছে ময়না পাখির নাম ধরে ডাকার সংলাপ বলে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন দীঘি। শিশুশিল্পী হিসেবে ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমায় অভিনয় করে ২০০৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এরপর নায়িকা হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছো তুমি নেই’।
গত এপ্রিলে তার অভিনীত ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় শ্যাম বেনেগাল নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন দীঘি।
আর এবার কোরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছে দীঘির অভিনীত ‘মার্ডার নাইন্টিজ’। এটি নির্মাণ করেছেন আবু হায়াৎ মাহমুদ ভূঁইয়া। সূত্র: কালবেলা।
প্রি/রা/শা