প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ গরু ও খাসির মাংসকে ছাড়িয়ে যাওয়া কাঁচামরিচের ঝাঁজ আবারও বাড়ছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানির খবরে দাম কিছুটা কমলেও আবারও বেড়েছে। রাজশাহীর বাজারে কাঁচা মরিচের দাম এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ৯০-১০০ টাকা। আর এর পেছনে আষাঢ়ে বর্ষণকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (৫ জুলাই) নগরীর কাঁচাবাজার ও মোকামগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা কেজি। যা মঙ্গলবারও ৩০০ টাকা কেজি ছিলো। পাইকারি বাজারে বুধবার প্রতিকেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৬০ টাকা কেজি। যা মঙ্গলবার ছিলো ২৮০ টাকা কেজি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে অনেক জমির মরিচ গাছ মারা গেছে। এখন দেশে মরিচের উৎপাদন তলানিতে। একারণেই বাজারে মরিচের সরবরাহ কম। এরমধ্যে ভারত থেকে যে পরিমাণ মরিচ আমদানি হয়েছে, তা দেশের এক-দু’দিনের খোরাক। সুতরাং একবার আমদানি করে মরিচের দাম কমানো সম্ভব না। আর আমদানিকৃত মরিচ শেষ হয়ে যাওয়ায় আবারও মরিচের দাম বাড়তি।
এদিন সাহেববাজার ও র্কোট বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানিরা খুবই অল্প সংখ্যক মরিচ তুলেছেন। মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণে বেচাবিক্রিও কম। এছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অভিযানকে হুজুগে দাবি করে অনেকে মরিচ বিক্রিও করছেন না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সাহেববাজারের কাঁচামালেরর বিক্রিতা লিটন আলী জানান, এখন মরিচের দাম কিভাবে কমবে? চারিদিকে মরিচের খেত নষ্ট হয়ে আছে। কৃষক জমি থেকে মরিচ তুলতে পারছে না। আর আষাঢ়ের জলাবদ্ধতা যতদিন না কাটবে কাঁচামরিচের দাম বেশিই থাকবে। কারণ বাজারে মরিচ না থাকলে দাম তো বাড়বেই। আর যে মরিচ ভারত থেকে এসেছে সেটাও একদিনের খোরাক। একারণেই দাম বাড়ছে। আর ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হুজুগে অভিযানের কারণে তিনি মরিচ নামমাত্র এনেছিলেন। সকালেই শেষ হয়ে গেছে।
তিনি জানান, বুধবার পাইকারি ৩৬০ টাকা কেজিতে মরিচ কিনে খুচরা ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন। এই মরিচই গতকাল (মঙ্গলবার) পাইকারি ছিলো ২৮০ টাকা কেজি। সুতরাং খুচরা ব্যবসায়ীদের দু’পয়সার পুঁজিতে জরিমানা না করে সমস্যার মূলে গিয়ে জরিমানা করা উচিত।
এদিকে, রাজশাহী অঞ্চলে এবার মরিচের উৎপাদনে খরা ও মাকড় পোকার আক্রমণের সঙ্গে বৃষ্টির নেতিবাচক প্রভাবের কথাও জানাচ্ছেন কৃষি বিভাগ।
রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, এবার তীব্র তাপদাহ ও মাকড় পোকাসহ বৃষ্টিরও নেতিবাচক প্রভাব মরিচের বাজারে আছে। একারণে সাময়িক মরিচের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব থাকবে। তবে মরিচের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেলে বুঝতে হবে, একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতাও চলছে।
প্রি/রা/শা