প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ নাটোরে খাদিজা কবরী লিমা নামে এক গৃহবধূকে হত্যা মামলায় তার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহত গৃহবধূর স্বামী সিংড়া উপজেলার গুটিয়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে সানিউল ইসলাম শিহাব, শাশুড়ি সাবিনা ইয়াসমিন ও ননদ রিভু খাতুন। মামলার রায়ে বিচারক জরিমানার অর্থ নিহতের পরিবারের সদস্যদের প্রদান করতে বলেছেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গৃহবধূ খাদিজা কবরী লিমার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের মাত্র সাত মাসের মাথায় একই বছরের ৩ অক্টোবর যৌতুকের দাবিতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির বারান্দায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। পরে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিহত গৃহবধূর বাবা লোকমান হোসেন আত্মীয় স্বজনসহ ঘটনাস্থলে আসেন।
এ সময় তিনি ঘটনাস্থলে তার মেয়ের মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে সিংড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে নিহত গৃহবধূর স্বামী সানিউল ইসলাম, শাশুড়ি সাবিনা ইয়াসমিন ও ননদ রিভু খাতুনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ নিহত খাদিজা কবরীর স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার এ রায় প্রদান করেন।
রায়ে দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রঃ যুগান্তর।
প্রি/রা/শা