নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আসসালামু-আলাইকুম। আসা করি সবাই ভাল আছেন। আমি মোছা: শিল্পি, পিতা মৃত মানিক শেখ, সাং শেখের চক, পাঁচানী মাঠ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী। সাংবাদিক ভাইয়েরা আমার স্বামী মোঃ ওরশন আলী খান (৬২) পিতা-মৃত জমসেদ আলী খাঁন, সাং-দাসপুকুর, থানা- রাজপাড়া, রাজশাহী।
বর্তমানে তিনি মতিহার থানাধীন জাহাজঘাট এলাকায় বসবাস করেন। গত এগার বছর পূর্বে তার সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমাকে নানাভাবে নির্যাতন চালায়। শুধু তাইনয় এখন আমার আগের পক্ষের সন্তান অন্তরের কিডনি তিনি চান। না দিতে চাইলে তিনি আমাকে সদ্য বিদায়ী কোরবানী ঈদের আগে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেন।
মারপিট করে গুরুতর আহত করে বাড়ি থেকে আমাকে এবং আমার ছেলেকে বের করে দেন। সেই থেকে আমি আমার সন্তানসহ বাবার বাড়িতে আছি। সাংবাদিক ভাইয়েরা: আপনারা হচ্ছেন জাতীর বিবেক। কোন সুস্থ্য মানুষ কি তার নিজের কিডনী কাউকে দেয়। তবে ঘনিষ্ট কেউ হলে সে বিষয়টি আলাদা।
গতকাল ৭ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার স্বামী আমার বাবার বাড়িতে এসে আমকে এবং আমার ছেলে আবারও মারপিট ও বাড়িতে ভাঙ্গচুর করে এবং কিডনি না দিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকী দেন। এ অবস্থায় আমি উপায় না পেয়ে গতকাল শুক্রবার আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
সাংবাদিক ভাইয়েরা: আমার স্বামী শুধু আমকে নির্যাতনই নয়। আমাকে জোর করে শাখা সিঁদুর পরিয়ে পুজা করতে বাধ্য করতেন। আমার স্বামী আকুপাঞ্চারীষ্ট। কিন্তু তিনি যে সনদ নিয়ে এই ব্যাবসা করেন তার সমস্ত সনদ জাল। সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমি একজন গরীব অসহায় নারী। আমার এই সন্তান ছাড়া আর কেউ নাই। আমার স্বামী থেকেও নাই।
তিনি সর্বদা আমার উপরে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছে। এখন আবার আমার ছেলের দিকে নজর দিয়েছে। আমি এই অমানুষ স্বামীর বিচার দাবী করছি। আপনাদের কলমের লেখনির মধ্যে দিয়ে আমাকে ও আমার সন্তানকে এই হায়নারুপি স্বামীর কবল থেকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছি। সেইসাথে স্বামীরুপি ঐ হায়নাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
প্রি/রা/আ