নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে হেরে ঘরের মাঠে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। তবে পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। কিন্তু তৃতীয় ওয়ানডে জিতে আবারও লিড নেয় প্রোটিয়ারা।
তাই সিরিজে টিকে থাকতে আজ জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের যুবাদের। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে জয়ের ভীতটা গড়ে দেন বোলাররা।
কিন্তু সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমেও ব্যর্থ মিডল অর্ডার। তাতে হারের শঙ্কাও জেগেছিল। তবে রাব্বি-বর্ণের দৃঢ়তায় সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ (১৪ জুলাই) সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে টস হেরে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৫ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা অনুর্ধ্ব-১৯ দল।
বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৮ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার রাফি। জবাবে ২৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জুনিয়র টাইগাররা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৬ রান করেছেন রাব্বি। বাংলাদেশের ৪ উইকেটের এই জয়ে সিরিজে ২-২ এ সমতা বিরাজ করছে। তাই শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুতই ফিরেছেন রিজওয়ান। এই ওপেনার ৫ রান করে সাজঘরে ফিরলেও আরেক ওপেনার আদিল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ২৫ রান।
কিন্তু আরিফুল-শিহাবরা ব্যর্থ হলে হারের শঙ্কা জাগে। তবে সাত এবং আট নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে যথাক্রমে অপরাজিত ২৫ ও ২৬ রান করেছেন বর্ণ ও রাব্বি। তাতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। থেব গাজিড ১ রান করে সাজঘরে ফেরার পর তিনে এসে গোল্ডেন ডাক খেয়েছেন ডেভিড টিগার। সুবিধা করতে পারেননি জোনাথনও।
টপ অর্ডারের এই তিন ব্যাটার ব্যর্থ হলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন প্রিটোরিয়াস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে তার ব্যাট থাকে।
এই ওপেনার ছাড়া আর কেউই বলার মতো কোনো রান করতে পারেনি। ফলে ১২৮ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা।
প্রি/রা/আ