শনিবার | ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে লাইফগার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বখাটে, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রাজশাহী মহানগরীর লাইফগার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক। বুধবার বিকেলে নগরীর একটি চাইনিজ রেস্টেুরেন্টে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট শামীম রেজা প্রতিকার ও সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

এ সময়ে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করে বলেন, তিনি একজন সাবেক বিমানবাহিনী সদস্য। চাকুরী থাকাকালীন সময়ে র‌্যাবে কর্মরত ছিলেন। অবসরের পর জীবিকা নির্বাহের জন্য ২০১৪ হতে এ পর্যন্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। এ প্রতিষ্ঠানটি মানবিক সেবা কেন্দ্র নামে বেশি পরিচিত।

গত ২৯মার্চ২০২৩ইং তারিখ আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী মহনাগরীর রাজপাড়া থানাধীন লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া শাপলা লেনের বাসিন্দা মৃত সুবেদ আলীর ছেলে মাহফুজ ওরফে সোহাগ (৩০) অজ্ঞাত আরো তিন-চার জন সহ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁর প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে নানা হুমকী ধামকি দেয় এবং ৫% শেয়ার দাবী করেন।

শেয়ার না দিলে ৫ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাঁর প্রতিষ্ঠান হতে সেল কাউন্টার, ইউএসজি সেন্টিফিউজ মেশিন, ইসিজি মেশিন, সিপিইউ, হরমন মেশিন, মাইক্রোস্কপ মেশিন, সেন্টিফিউজ মেশিন ও ইউপিএসসহ সকল মেশিনগুলো উপস্থিত কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে চলে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুন ২০২৩ ইং তারিখ এস.আই কাজল এ বিষয়ে মুঠোফোনে তাঁকে জানালে তিনি বলেন, সোহাগ লাইফগার্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শেয়ার হোল্ডার নন। তিনি তাঁর নিকট হতে অনৈতিক ভাবে চাদা দাবি করছে। ইতি পূর্বে সোহাগ তাঁর নিকট অনেক বার চাঁদা দাবি করেছেন।

এ নিয়ে রাজশাহী বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করা আছে। এত কিছুর পরেও তিনি কোনো প্রকার আইনানুগ সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামীম রেজা আরো বলেন, এই সোহাগ অতিতে তাঁর নিকট হতে প্রায়শই দুই থেকে তিনশ টাকা করে নিতেন। কিন্তু তিনি এভাবে তার এত বড় ক্ষতি করবেন তিনি তা বুঝে উঠতে পারেন নি। তিনি বলেন, এত মামলা, সাধারণ ডায়েরী করেও কোন লাভ হচ্ছেনা।

আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং প্রতিনিয়ত তাঁকে এবং তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হয়রানী করছেন। থানা কর্তৃপক্ষের নিকট হতে তিনি তেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি সকল মেশিন হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাঁর কাজকর্ম বন্ধ থাকায় ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

এ বিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে উপরোক্ত মালামাল নিয়ে গেছে সোহাগ গংরা। এখন তারা বেকার হয়ে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রি/রা/আ

 

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.