রাজশাহীর চারঘাট এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার দুই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৩ জুন) দিনগত রাত ২টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কালুহাটির মৃত হাবিল উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন (৭৫), ও মৃত মকছেন ঘোরার ছেলে খেতাব (৮০)।
শনিবার (২৪ জুন) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে রাজশাহী পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দিনগত রাত ১টার দিকে চারঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন এবং উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাইল আহমেদের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান পরিচালনা করে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মফিজ উদ্দিন ও খেতাবকে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কালুহাটির নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার পর থেকে তারা দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তাদের মধ্যে খেতাব এলাকায় কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে চারঘাট থানা এবং সংলগ্ন এলাকায় গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার দুজনকে র আদালতের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে বয়স বিবেচনায় অসুস্থ থাকায় খেতাবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি পুলিশ হেফাজতে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
প্রেস ব্রিফিং চলাকালে রাজাকার খেতাব ও মফিজের নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চারঘাট থানা ও সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় রাজাকার খেতাব ও মফিজসহ তাদের সহযোগীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে এরা অনেকের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং নৃশংসভাবে মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করেছিলেন।