বুধবার | ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের জন্য কারাগারে স্বজনেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক তাহের আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের জন্য কারাগারে গিয়েছেন স্বজনেরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যান।

দুপুরে কারাগারের সামনে ফাঁসির আসামি জাহাঙ্গীরের বড় ভাই মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত রোববারই তাঁদের চিঠি দিয়ে সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়েছে। রিট খারিজের পর আজ তাঁরা দেখা করতে এসেছেন। তাঁদের সবার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নেওয়া হয়েছে।

এখন তাঁরা সাক্ষাতের জন্য জেলগেটের বাইরে অপেক্ষা করছেন। ডাক পড়লে ভেতরে গিয়ে সাক্ষাৎ করবেন।

এর আগে আজ সকালে ড. তাহের হত্যা মামলায় চূড়ান্ত রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে কারাগারের ভেতরে চলছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠক। কারা সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় যে কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা, তাঁরা এ বৈঠকে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আব্দুল জলিল কোনো কথা বলতে রাজি হননি। রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহম্মেদ একটি সভায় আছেন জানিয়ে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আপাতত কিছু জানাতে পারছি না।’

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। বিষয়টি নিয়ে তিনি কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেই কথা বলার পরামর্শ দেন।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন অধ্যাপক তাহের আহমেদ। ২ ফেব্রুয়ারি তাঁর লাশ বাসার পেছনের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালতের বিচারক চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।

পরে দণ্ডপ্রাপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন। আপিল বিভাগ মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের রায় বহাল রাখলেও আসামি নাজমুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর ভাই আব্দুস সালামের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দেন।

তবে আপিলে সাজা কমে যাবজ্জীবন পাওয়া দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়ই বহাল রাখেন। ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদনও নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

প্রি/রা/আ

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.