একটি প্রসিদ্ধ গবেষণা সংস্থার সর্বসাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ অস্ট্রেলিয়ান সন্দিহান যে চীন আগামী দুই দশকের মধ্যে দেশটির জন্য সামরিক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। লোয়ী ইন্সটিটিউটের জরিপে দেখা গেছে, গত ১২ মাসে চীনের প্রতি অস্ট্রেলীয়দের মনোভাব কিছুটা উষ্ণ হয়েছে; তবে সন্দেহ থেকে গেছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত সর্বসাম্প্রতিক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ানরা গত এক বছরে চীনের প্রতি কিছুটা উষ্ণ হয়েছে এবং ক্যানবেরা ও বেইজিংয়ের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সংলাপ পুনরায় শুরু হওয়ার ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকজন আনন্দিত।
তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ওপর অস্ট্রেলীয়দের আস্থা কম। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন বেইজিং অস্ট্রেলিয়ার জন্য সামরিক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
২০২২ সালের মে মাসে ক্যানবেরায় বামপন্থী সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
সিডনি ভিত্তিক লোয়ী ইনস্টিটিউটের জনমত ও বৈদেশিক নীতি কর্মসূচির পরিচালক রায়ান নীলম অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেছেন, বেইজিং এবং ক্যানবেরার মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল হলেও অস্ট্রেলিয়ায় সন্দেহের মাত্রা এখনও উচ্চ।
অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের এক চতুর্থাংশেরও বেশি চীনের সঙ্গে।
চীনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে তার ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্মিলিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানবাধিকার, দক্ষিণ চীন সাগর এবং কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ক্যানবেরা ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে।
কূটনৈতিক মতবিরোধের পরে বাণিজ্য বিরোধ দেখা দেয়, তবে চীন এখন কয়লা এবং কাঠসহ বিভিন্ন অস্ট্রেলিয়ান পণ্যের উপর আরোপিত বিধিনিষেধগুলো শিথিল করতে শুরু করেছে।
লোয়ী ইনস্টিটিউটের জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মনোভাব প্রধানত স্থিতিশীল রয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তার জন্য কয়েক দশকের পুরনো আমেরিকান জোটই গুরুত্বপূর্ণ। উত্তরদাতাদের তিন-চতুর্থাংশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানের পক্ষে।