নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর ‘সীমান্ত অবকাশ’র সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজুল আলম খান ফাউন্ডেশন রাজশাহীর উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ও সিরাজুল আলম খানের ভাতিজি ব্যারিস্টার ফারাহ খান।
ফারাহ খান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সিরাজুল আলম খানের অবদান কতটা সেটা জাতি জানে। তিনি নিউক্লিয়াস তৈরি করেছিলেন। তার তৈরি সেই নিউক্লিয়াস বাংলাদেশ স্বাধীন করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আজকে তিনি আমাদের মাঝে নেই। কিš‘ তার রেখে যাওয়া রাজনৈতিক দর্শন, দেশপ্রেম আমাদের মধ্যে রয়েছে। আমরা তার সেই অবদানকে সবার সামনে তুলে ধরতে চাই।
তিনি আরো বলেন, সিরাজুল আলম খানের নামে কোনো স্থাপনা নেই। তার নামে দেশের কোনো সড়কের নামও নামকরণ হয়নি। হয়নি কারণ তিনি এসব চাননি। তিনি কখনো খ্যাতি চাননি। নিঃস্বার্থভাবে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তার জীবদ্দশায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে উনার জন্মদিনে আমরা এই ফাউন্ডেশন গঠন করি। এটিও তার জীবনে প্রথম ও শেষবার আড়ম্বর জন্মদিন উদযাপন। সেই দিবসে আমরা সিরাজুল আলম খান ফাউন্ডেশন গঠন করি। এই ফাউন্ডেশন সিরাজুল আলমের জন্য এবং দেশের জন্য কাজ করবে। আমি চাই দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছেই পৌঁছাতে। দেশের সকল মানুষের কাছে সিরাজুল আলম খানকে পরিচয় করিয়ে দিতে এই ফাউন্ডেশন কাজ করছে।
এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে সিরাজুল আলম খান প্রত্যক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সিরাজুল আলম খান একইসূত্রে গাঁথা। সুতরাং রাজনৈতিক বিভেদের কারণে তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লিখলে সেটি পুরোপুরি সঠিক হবে না।
জাসদ কর্মী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবীর বাবু, সাবেক জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল হক পান্না, সিরাজুল আলম খান ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, জেলা জাসদের সহসভাপতি গোলাম হায়দার, সাবেক নেতা শাহরিয়ার রহমান সন্দেশ, মুক্তিযুদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, হোসেন আলী পিয়ার, ফয়জুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
স্মরণসভায় বক্তারা সিরাজুল আলম খানের ১৪ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান। তার দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, দেশে ৯টি প্রদেশ, একজন মূখ্যমন্ত্রীসহ ৯ সদস্যের প্রাদেশিক সরকার এবং এক তৃতীয়াংশ শ্রেণি-পেশার জনগনের প্রতিনিধি নিয়ে দেড়শো সদস্যের প্রাদেশিক পরিষদ গঠন, শ্রেণি-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বে দুইশো সদস্য বিশিষ্ট আইনসভার উ”চক্ষ গঠন, ফেডারেল সরকার, মেট্রোপলিটন সরকার ও স্বশাসিত উপজেলা ব্যবস্থা চালু, নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তন এবং এক ব্যক্তির দুই ভোট চালু করা।
প্রি/রা/শা