নিজস্ব প্রতিবেদক : মাত্র ৩৭ দিন বয়সি শিশুসন্তানকে কেন্দ্রের বাইরে রেখে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় বসেছেন মা মাহমুদা আক্তার। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ফলে কেন্দ্রের বাইরে নানির কোলে বসে মায়ের অপেক্ষায় ছিল শিশু ইব্রাহিম ইসলাম সোহান।
জানা গেছে, রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় নগরীর ভদ্রা আবাসিক এলাকায় শাহ মখদুম কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেন মাহমুদা আক্তার। ফলে মা যখন পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত, তখন কেন্দ্রের বাইরে নানি হামিদা বেগমের কোলে ছিল শিশু সোহান।
এদিকে শিশু ইব্রাহিম ইসলাম সোহানের বাবা আমিরুল ইসলাম আলিমও এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে হওয়ায় কয়েক দিন পরে তার পরীক্ষা শুরু হবে। ফলে পড়াশুনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে ছোট্ট শিশুকে কোলে নিয়ে বসে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদা বেগম বলেন, আমার মেয়ে মাহমুদা আক্তার ভেতরে পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই তার ৩৭ দিন বয়সি বাচ্চাকে আমি কোলে নিয়ে এখানে অপেক্ষা করছি। কারণ ছোট্ট বাচ্চা ক্ষুধায় যেকোনো সময় কাঁদতে পারে।
শিশুটির খালা শাহানা খাতুন বলেন, ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করে ছোট বোন মাহমুদা। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে হওয়ায় আমিরুলের পরীক্ষা কয়েক দিন পরে শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, মাহামুদা আক্তার নগরীর মাদারবক্স গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ এবং তার স্বামী আমিরুল ইসলাম আলিম নগরীর একটি কারিগরি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন। পরীক্ষার জন্য মাহমুদা আমাদের বাড়িতে এসেছে। সে যেন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারে সেজন্য সবাই মিলে তাকে সহযোগিতা করছি।
এ বিষয়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, ছোট শিশু নিয়ে পরীক্ষা দিলেও তাকে কোনো ধরনের সহযোগিতার নিয়ম নীতিমালায় নেই। তবে অনেক সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তা মানবিকতার খাতিরে বাচ্চাকে খাওয়ানোর সুযোগ দিয়ে থাকেন।
প্রি/রা/আ