নিজস্ব প্রতিবেদক : ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শনিবার রাতে ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ ওরফে তন্ময়, শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন ওরফে সনেট এবং শের-ই-বাংলা হল ছাত্রলীগের কর্মী ও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ।
ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই চার নেতা-কর্মীকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদসহ বহিষ্কৃত চারজনের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি, অপহরণ ও ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার তাঁদের বিরুদ্ধে নগরের মতিহার থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটি পাবলিক পরীক্ষা আইনে, অন্যটি অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে।
এ ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ। সেখানে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে মামলা ভিত্তিহীন ও জড়িত নন বলে দাবি করেন। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ঘটনা তদন্তের পর যদি তাঁর নাম আসে, তাহলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ফাঁসিতে ঝুলবেন।
এর আগে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছরের ৫ আগস্ট মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলনের ৯ দিন আগে ওই বছরের ৩ নভেম্বর সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
প্রি/রা/আ