ফরাসি ক্লাব পিএসজির সঙ্গে চলতি মাসের ৩০ তারিখে শেষ হচ্ছে লিওনেল মেসির চুক্তি। তার পরই তিনি হয়ে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির একজন সদস্য।
দেশি ও ক্লাব সতীর্থ থাকায় পিএসজিতে আগ্রহ নিয়ে যোগ দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। আর নেইমার ও এমবাপ্পের সঙ্গে মিশে যুক্ত হওয়ায় পিএসজির সমর্থকরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে। কিন্তু ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা অর্জন ছাড়াই পিএসজি ছাড়ছেন এই ফুটবল তারকা।
মেসি দুই মৌসুমি লিগ ওয়ান শিরোপা জিতলেও জিততে পারেনি পিএসজি সমর্থকদের মন। শুরুর দিকে তারা মেসিকে মাথায় তুলে রাখলেও ধীরে ধীরে তার প্রতি যেন ভালোবাসা কমে যায়। এমনকি ক্লাবটির সমর্থকদের থেকে অনেক সময় দুয়োও শুনতে হয়েছে মেসিকে। বিশেষ করে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে পিএসজির বিদায়ের পর মেসির প্রতি সমর্থকদের বিরূপ মনোভাব আরও বাড়ে। এমনকি বিদায়বেলাতেও মেসিকে দুয়ো দিয়েছেন তারা।
মায়ামিতে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় মেসি বলেছিলেন, পিএসজিতে দুই মৌসুমে তিনি ভালো ছিলেন না। এবার পিএসজি সমর্থকদের দুয়ো শোনা নিয়ে মুখ খুলেছেন মেসি।
বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার কারণ হিসাবে মেসি বলেন, ‘আমি প্যারিসে গিয়েছিলাম। কারণ ক্লাবটিকে আমার পছন্দ হয়েছিল। সেখানে আমার বন্ধুরা আছে। জাতীয় দল থেকেও অনেককে আমি চিনি। অন্য জায়গার চেয়ে সেখানে মানিয়ে নেওয়া আমার কাছে সহজ মনে হয়েছিল। সে কারণেই আমি প্যারিসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
তবে পিএসজির সমর্থকদের থেকে ভালোবাসা নয়; বরং বিরূপ আচরণ নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন মেসি। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘শুরুতে সব কিছু দারুণ ছিল। আমি দারুণ উৎসাহ পেয়েছিলাম, যা আমি প্রায়ই বলেছিলাম। তবে এর পর লোকেরা আমার সঙ্গে ভিন্নভাবে আচরণ করা শুরু করে। প্যারিসের বড় অংশের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরে। অবশ্যই সেটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এ ধরনের ঘটনা এর আগে এমবাপ্পে ও নেইমারের সঙ্গেও ঘটেছে। এটাই তাদের কাজ করার ধরন। তবে আমি এখনো সেসব মানুষকে মনে রেখেছি, যারা আমাকে সমর্থন করেছে।’
এ সময় নেইমার ও এমবাপ্পেকে নিয়েও কথা বলেন মেসি, ‘আমি নেইমার ও এমবাপ্পের স্মৃতি মনে রাখব, যারা আমাকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়েছিল।’