নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) সভাপতি রফিকুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমনউজ্জামান সুমন। তিনি সাংবাদিকদের সামনে হাতজোড় করে ক্ষমা চান।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা বৈঠক হয়। এসময় যুবলীগ নেতা সুমনকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কারের আশ্বাস দেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
সমঝোতা বৈঠকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তারা জাতির বিবেক। সমাজে তারা যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে সেটি দেশ এবং সমাজের জন্য মোটেও সুখকর বিষয় না। যুবলীগ-ছাত্রলীগ যেই হামলা চালাক না কেন, কেউ সংগঠনের ঊর্ধ্বে না।
সাংবাদিক নেতা রফিকের ওপর মিছিল থেকে অতি উৎসাহীরা হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো। যুবলীগ নেতা সুমনের বহিষ্কারের জন্যও কেন্দ্রে সুপারিশ করবো। আর যেন কোনো রাজনৈতিক নেতাকর্মীর দ্বারা কোনো সাংবাদিক আক্রান্ত না হন, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, সাবেক সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ইবনে ওবায়েদ, রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান শ্যামল, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখার সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, সুমনউজ্জামান সুমনের বাবা বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদিসহ রাজনৈতিক এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট শুক্রবার বিকালে পুঠিয়ার বানেশ্বর এলাকায় মিছিল থেকে আরইউজে সভাপতি রফিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় যুবলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক নেতা রফিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে এবং তার গাড়িটি ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
এ ঘটনায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যরাসহ রাজশাহীতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা সুমন ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। দেশব্যাপি তোলপাড় শুরু হয়। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নও এ ব্যাপারে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করে।
প্রি/রা/আ