নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মাস্টারকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুরস্থ একিট রেষ্টুরেন্টে পাকড়ী ইউনিয়নবাসী এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পাকড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন মাস্টার। তিনি উল্লেখ করেন পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের গতবারে তিনি ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০২১ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এছাড়াও তিনি একজন শিক্ষক। শিক্ষকতা ও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সুনামের সাথে তিনি পালন করে আসছেন। কিন্তু ২০২১ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অত্র ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে একটি কুচক্রি মোহল তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার ও প্রপাকান্ডা এবং একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁর সুনাম নষ্ট ও ইউনিয়নের ভাবমুর্তি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন শুধু তাই নয়, যারা মনোনয়ন পায়নি, তাদের কিছু সংখ্যক মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে সর্বদা মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। পাকড়ী ইউনিয়নের নবীনগর (বারোহাটি) গ্রামের পিতা মমতাজ উদ্দিন ভুলুর ছেলে মঈন উদ্দিন মানিক, মোশরাপাড়া গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিন এর ছেলে আজাহার আলী ও নারায়নপুর গ্রামের পিতা মৃত হোসেন আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
এই ব্যক্তি গুলো প্রকৃত পক্ষে ভূমিদস্যু। এলাকায় আদিবাসীদের জমি থেকে শুরু করে খাস পুকুর, খাস জমি তারা জবর দখল করে খাচ্ছে। বিশেষ করে মঈন উদ্দিন মানিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজের একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। এলাকায় ৭০-৮০ বিঘা জমি তার দখলে আছে। এর মধ্যেই পুকুর ও বড় বড় আম বাগান রয়েছে। রাজশাহী শহরে ৫কাঠা জমির উপরে তিনতলা বাড়ি রয়েছে। এলাকায় তার ভয়ে ও অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সামান্য চাকরী করে এত বিশাল সম্পদের মালিক কিভাবে হলে তা দেখার বিষয়।
চলতি বছরের জুলাই মাসের ১০ তারিখ পাকড়ী ইয়াজপুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে মারামারি হয়। সেই মারাামারিতে সোহেল রানা ছোটনসহ মোট চারজন খুন হন এবং সেদিনই গোদাগাড়ী মডেল থানায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা ২১জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৪০-৫০জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
এই মামলার এজাহারে তাঁর নাম ছিলোনা। অথচ মঈন উদ্দিন মানিক ঐদিন মারামারিতে ঘটনাস্থলে নিহত মেহের আলীর ছেলে সেতাবুর রহমান সেতুকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাদি করে ১৭-০৭-২০২৩ ইং তারিখে তাঁকে ১নং আসামী করে পুণরায় ৫০ জনের নামে জেলা রাজশাহীর আমলী গোদাগাড়ী থানা আদালত সিআর মামলা নম্বর ৪১০/২০২৩ মামলা করেন। তবে বিজ্ঞ আদালত উক্ত মামলাটিকে স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, এই সকল মিথ্যা খবর এবং মিথ্যা মামলায় তিনি সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেননা। এতে ইউনিয়নের উন্নয়র বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। তিনি ঐ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকড়ী ইউপি ১নং ওয়ার্ড সদস্য জাদের আলী, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য জয়নুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মফিজুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য গোলাম রাব্বানী, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য জব্বার আলী, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল করিম, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নূরুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ইয়াকুব আলী ও ৯নং ওয়ার্ড সদস্য কাওসার আলী। এছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসনের ইউপি সদস্য মানুয়ারা বেগম, লতিফা বেগম ও মিলি আরা বেগম। তারাসহ উপস্থিত গ্রামবাসী সকলেই চেয়ারম্যানকে নির্দোশ দাবী করে তাঁর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন।
প্রি/রা/আ