প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ বরগুনার বামনা উপজেলার অযোধ্যা গ্রামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করার ঘটনা ঘটেছে। ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন স্বামী, আর এ ঘটনার ভিডিও করেন ধর্ষকের স্ত্রী।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত আল আমীন (৩০) ও তার স্ত্রী তাজেনুর বেগমের (২৩) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় বামনায় ওই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে অভিযুক্ত ধর্ষক ও তার স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বক্তব্য দেন- রামনা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জমাদ্দার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি নুর-ই আলম হাওলাদার, সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
থানা ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারে মোবাইল ফোন না থাকায় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রায়ই অভিযুক্ত আল আমীনের ফোন থেকে কথা বলত। এ সুযোগে আল আমীন প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। গত ২৮ জুলাই বেলা ৩টার দিকে আল আমীনের স্ত্রী তাজেনুর বেগম তাকে কাঁথা সেলাই করার জন্য ডেকে নিয়ে ঘরের পাটাতনে আসতে বলেন। সেখানে আগে থেকেই অভিযুক্ত ধর্ষক অবস্থান করছিলেন। তাকে দেখে ওই শিক্ষার্থী নিচে নামতে গেলে স্ত্রী তাজেনুর তাকে বাধা দেয় এবং টেনেহিঁচড়ে পাটাতনে ফেলে তাকে ধর্ষণ করেন আল আমীন।
এ সময় তার স্ত্রী ওই ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন ও ছবি তুলে রাখেন। ওই ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে সে তার প্রস্তাবে পুনরায় রাজি না হলে ওই ধারণ করা ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তারা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিষয়টি জানতে পেরে বামনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ও তার স্ত্রীকে গত ১৭ আগস্ট রাতে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দিয়ে ১৮ আগস্ট সকালে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সূত্রঃ যুগান্তর।
প্রি/রা/শা