নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর তানোরে ছেলের সুন্নতে খাতনায় বাবাকে না বলায় স্ত্রী-সন্তানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা করেছে। আজ শনিবার (২৬আগস্ট) বিকেলে রাজশাহীর তানোর পাঁচন্দর ইউনিয়নের পাঁচন্দর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো নিপা (২২) ও তার ৬বছরের ছেলে নুর। ঘটনার পর গ্রামবাসী ঘাতক অলিউর রহমানকে (৩৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে। অলিউর রহমান একজন মাদকাশক্ত ব্যক্তি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুর রহিম গ্রামবাসীদের বরাদ দিয়ে জানান, তানোর পাঁচন্দর ইউপির মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত সিদ্দিকের মাদকাসক্ত ছেলে অলিউরের সাথে একই এলাকার পাঁচন্দর গ্রামের নিপার বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে আসে সন্তান নুর। বর্তমান নুরের বয়স ৬বছর। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় বছর খানেক আগে নিপা ও অলিউরের মধ্যে তালাক হয়ে যায়।
এ নিয়ে রাজশাহী নারী শিশু আদালতে একটি মামলা চলছে। তালাকের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বসবাস করতেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) নিপা তার ছেলে নুরের সুন্নত খাতনা দেন। কিন্তু ছেলের সুন্নতে খাতনায় পিতাকে জানান নি নিপা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক স্বামী অলিউর রহমান সাবেক স্ত্রী নিপার বাসায় গিয়ে তাকে চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এসময় নিপার সন্তান নুর এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পাষন্ড মাদকাসক্ত বাবা অলিউর রহমান।
ঘটনাটি স্থানীয়রা জানতে পেরে অলিউর রহমানকে আটক করে উত্তমমধ্যম দিয়ে আটকিয়ে রাখলে পুলিশ তাকে আটক করে।
নিহত নিপার বড়ভাই ভুলু জানান, দেড় বছর আগে তার বোনকে হাসুয়া দিয়ে কোমরে কোপ দিয়েছিলেন অলিউল। তখন অলিউলের নামে তারা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় কারাগারে ছিলেন অলিউল। পরে পারিবারিকভাবে আপোসের মাধ্যমে নিপা অলিউলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করেন।
নিপাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয় অলিউলের কাছ থেকে। ৭-৮ মাস আগে আপোসের মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হন অরিউল। দেড় মাস আগে আবারও নিপা-অলিউলের বিয়ে হয়। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) শিশু নূরের সুন্নতে খাৎনাও করা হয়েছিল।
ওসি আরো জানান, ঘটনাটি শোনের পর ওইস্থানে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে অলিউরকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে নিহত মা-ছেলের মরদে উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রি/রা/শা