প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ রাজশাহীর পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর আবেদন করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।
বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জিআই আবেদনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
তিনি বলেন, রাজশাহীর ঐতিহ্য মিষ্টি পান। জিআইয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে আবেদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমনটা নাটোরের কাঁচাগোল্লা করেছি।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, রাজশাহীবাসীর কাছে সারাজীবনের একটা বিষয় থাকবে যে, পানের স্বত্ব হলো। যখন জিআই পণ্যের স্বীকৃতি মিলবে তখন মিষ্টি পানের চাহিদাও বাড়বে। আমাদের যারা প্রান্তিক কৃষক আছেন তারা পানের দাম পাবেন। অন্য পানের চেয়ে আমাদের পানের চাহিদা দেশসহ বিশ্বে বাড়বে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর শামসুল ইসলাম, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (ইডিসি) সদস্য প্রতাপ পলাশ, মো. দেলোয়ার প্রমুখ।
রাজশাহী জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল পান। এ জেলার মাটি ও জলবায়ুর কারণে প্রচাীন আমল থেকে মিষ্টি পানের উৎপাদন হয়ে আসছে। পান চাষে কৃষকরা জড়িয়ে আছেন বংশ পরম্পরায়। মোহনপুর, বাগমারা ও দুর্গাপুরে রয়েছে অসংখ্য শতবর্ষী পানের বরজ।
পান চাষে ভাগ্য বদলেছে হাজার হাজার কৃষকের। কয়েক লাখ মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন রাজশাহীর মিষ্টি পান। পানের কারণে রাজশাহীতে বেড়েছে সরিষা আবাদ, বাঁশ, নালিয়াসহ নানা রকম সহযোগী পণ্যের চাহিদা। ফলে নানাভাবে রাজশাহীর অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে মিষ্টি পান।
জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪৪৯৬ হেক্টর জমিতে মিষ্টি পানের আবাদ হয়েছে। যার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৬ হাজার ৬৭৮ মেট্রিক টন। বছরে পান থেকে আয় হয় আড়াই হাজার কোটি টাকা। সূত্রঃ জাগো নিউজ।
প্রি/রা/শা