নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীতে ভাদ্রের তীব্র গরমে অসহনীয় লোডশেডিং জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। বাইরে কাঠফাঁটা রোদ আর ঘরে লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন।
গত দুই সপ্তাহ থেকে দিনে ৬ থেকে ৮ বার করেও লোডশেডিং হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন জায়গায়। ন্যূনতম ২০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়া রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে অন্তত এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং থাকছে।
দিনের গরমে তেঁতে থাকা ক্লান্ত শরীর বিছানায় যাওয়ার পর এমন লোডশেডিং এর দুর্ভোগ কষ্ট বাড়িয়েছে মানুষের। যার কোনো সদুত্তর নেই নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কর্তৃপক্ষের কাছে।
রাজশাহীর দামকুড়া থানাধীন মুরারীপুর এলাকার আব্দুল করিম বলেন, এখন ভাদ্র মাস। বাইরে প্রচুর রোদ গরম। এর মধ্যে অসহ্যকর লোডশেডিং গত দুই সপ্তাহ থেকে চলছে। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত চার বার লোডশেডিং হয়েছে। তার আগের রাতে রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত লোডশেডিং ছিল। এ অবস্থার উত্তরণ জরুরি।
নগরীর শিরোইল এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের মূল পয়েন্টে থাকি। কিন্তু এখানেও লোডশেডিং চরমে। দিনে চার থেকে ৫ বার করে লোডশেডিং। এদিকে কিলোওয়াট বাড়ানোর জন্য নতুন করে ভোগান্তিতে ফেলেছে নেসকো। শুক্রবার রাত ১১টার সময় টাকা থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। রাতে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি। এদের এটা বড় সমস্যা। লোডশেডিং হলে বা প্রয়োজনে যোগাযোগ করলেও তারা ফোন ধরে না।
এ বিষয়ে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি নেসকো রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কথা বলার কোনো এখতিয়ার আমার নেই। আমি কোনো কথা বলতে পারব না।
এ বিষয়ে নেসকোর নিবার্হী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শহীদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী জাকির হোসেন আছেন। উনার সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রঃ যুগান্তর।
প্রি/রা/শা