সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘শাংরি লা ডায়ালগস’ নামের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে চীনের বেড়ে চলা প্রভাব-প্রতিপত্তি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে৷ বিশেষ করে, দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং যেভাবে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে, তার ফলে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংকটের আশঙ্কা বাড়ছে৷
তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের তর্জনগর্জনও আন্তর্জাতিক স্তরে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে৷ সম্মেলনে চীনা ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাৎ হলেও চীন সরাসরি কোনো আলোচনা চালাতে অস্বীকার করছে৷
এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াসহ চীনের অনেক প্রতিবেশী দেশ পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে৷ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সোমবার নয়া দিল্লিতে ভারতের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক আরও নিবিড় করার পক্ষে কথা বলেছেন। দুই দেশই এক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আগামী ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই সফরে আরও কিছু ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিউস সিঙ্গাপুরের সম্মেলনে দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ ২০২৪ সালে সেখানে দুটি রণতরী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷ অবশ্য তিনি বলছেন, এর মাধ্যমে চীন বা অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না৷
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিস্টোরিউস বলেন, নিয়ম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামোর পক্ষে সব দেশের জোরালো সমর্থন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে৷ তাছাড়া বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথগুলোর সুরক্ষাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জার্মানির একটি যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ চীন সাগরে টহল দিয়েছিল৷ ইউরোপের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ ওই অঞ্চল দিয়ে হয়। জার্মানিসহ একাধিক দেশের কাছে সেখানকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিশেষ গুরুত্ব রাখে৷