মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেপালে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১২৮

প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ গত রাতের ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ১২৮ জনে এবং বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপ থেকে এখন পর্যন্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ১৪০ জনকে। পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নেপালের জাতীয় দৈনিক দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট।

শুক্রবার রাত ১১ টা ৪৭ মিনিটের দিকে হওয়া এই ভূমিকম্পের কম্পণ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও অনুভূত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি। নেপালের সীমান্ত থেকে নয়াদিল্লির দূরত্ব প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।

নেপালের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৫০ মাাইল উত্তরপূর্বে অবস্থিত জাজারকোট জেলা ছিল এই ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা উৎপত্তিস্থল। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ব জরিপ সংস্থা তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে— ভূপৃষ্ঠের ১১ মাইল গভীরে উৎপত্তি হয়েছে এ ভূমিকম্পের।

সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল জাজারকোট জেলার। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২৪৫ মাইল উত্তরপূর্বে অবস্থিত এই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাজারকোট পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সন্তোষ রোকা।

জাজারকোটের নালগাড় শহরের ডেপুটি মেয়র সরিতা সিংও এই মৃতদের তালিকায় রয়েছেন বলে কাঠমান্ডু পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন রোকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৫৫ জনেরও বেশি মানুষকে।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের পশ্চিামঞ্চলীয় পার্বত্য জেলা পশ্চিম রুকুম। জেলা পুলিশের ডেপুটি সুপারিটেনডেন্ট নমরাজ ভট্টরাই জানিয়েছেন, পশ্চিম রুকুমের বিভিন্ন গ্রাম ও শহর থেকে এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ এবং আহত অবস্থায় ৮৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

জাজারকোট ও পশ্চিম রুকুমের পাশাপাশি নেপালের ভেরি, নালগাড়, কুশে, বেরেকোট ও চেদাগড়েও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে বলে কাঠমান্ডু পোস্টকে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

তিব্বতীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান হওয়ার কারণে ‘হিমালয় কন্যা’ নামে পরিচিত নেপালে ভূমিকম্প একটি নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোাগ। গত ২২ অক্টোবর কাঠমান্ডু ও তার আশপাশের এলাকায় ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল।

সেই ভূমিকম্পে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ২০১৫ সালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক ভূমিকম্পে দেশটিতে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ৯ হাজার মানুষ এবং প্রায় ১০ লাখ বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল ভূমিকম্পের কারণে মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এক তাৎক্ষণিক পোস্টে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘শুক্রবার রাত ১২টার দিকে জাজারকোটের ভূমিকম্পে হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল। উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ সরবরাহ করতে নিরাপত্তা সংস্থা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।’ তথ্যসূত্র: ঢাকাপোস্ট

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.