সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহীন আকতার রেণী বলেন, জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে গেছেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঈমানি করেননি। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড একইসুত্রে গাঁথা। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিলেন, তাদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন এখন সময়ের দাবি।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, জাতীয় চার নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি-আদর্শে অটুট ও প্রচণ্ড দেশপ্রেমিক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে এমন দেশ খুব কমই আছে যারা এতোকিছুকে কাটিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ শোককে শক্তিতে পরিণত করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করছেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মোমিন, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম ও রাসিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহমেদ মামুন।
সভা মঞ্চে ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুজ্জামান, সভায় ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনি, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ, ভারপ্রাপ্ত সচিব আল মাহমুদ রনি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু-সালেহ নূর-ঈ-সাইদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আবৃত্তি শিল্পী নূ-ই-হাফিজা খানম, মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল। দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করেন ছিলেন লাব্বিবা নাওয়াজ সহিষ্ণতা, বরকত-এ-এলাহী রিমন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সোনাদিঘী জামে মসজিদের পেস ইমাম ক্বারী মোঃ মামুন উর রশীদ।