সোমবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অপরিহার্য অংশ কম্পিউটার প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। প্রযুক্তির অগ্রসরতায় এসেছে জেনারেটিভ এআই বা নিজ থেকে পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে শিখতে সক্ষম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে ১৮ বা ২০ মাসের মধ্যে দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব হবে।

দুবাইয়ে অ্যাসেমব্লি ফর জেনারেটিভ ‘এআই’ শিরোনামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই আয়োজনের জেনএআই টুডে, এজিআই টুমরোতে প্যানেল আলোচনায় পিডব্লিউসি মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা আলী হোসেইনি বলেন, এআই ও মানুষ একে অপরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিল্পে উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, বিশেষ করে জেনারেটিভ এআই, চ্যাটজিপিটির ও সব প্লাগইন আপডেটে নির্ভুলতার সব বিষয় উপস্থাপন করেন।

আলী হোসেইনি বলেন, এখন বাজার মূল্যায়ন, মূল্য নির্ধারণের কৌশল বা বাজার বিশ্লেষণে এআই ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে প্রায় নির্ভুল ফল পাওয়া যাচ্ছে। জেনারেটিভ এআই আগামী ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে দৈনন্দিন কাজের উল্লেখযোগ্য অংশ স্বয়ংক্রিয় করতে সক্ষম হবে।

বিশেষজ্ঞ (এআই) স্টিফেন অ্যান্ডারসন এ প্রযুক্তিতে স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা স্বীকার করেছেন, এআই মডেলগুলোর নির্ভুলতা ও সম্ভাব্য পক্ষপাতের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা দৃশ্যমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই চাকরিকে বাদ দিচ্ছে না, বরং তা রূপান্তর করছে। ফলে ভবিষ্যতে প্রচুর সুদক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে। তারা এআই প্রযুক্তিতে নৈতিকতা ও ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন নিশ্চিতে অবকাঠামো তৈরি ও প্রশিক্ষিত কর্মশক্তি গড়তে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। হোসেইনি বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে আগামী ১৮ থেকে ২০ মাসের মধ্যে এআই মানুষের জীবন ও প্রয়োজনের প্রতিটি দিক স্পর্শ করবে। নতুন চাকরি তৈরি করবে, যার জন্য বহুমুখী দক্ষতার প্রয়োজন হবে।

অ্যান্ডারসন টেকনোলজি ইনোভেশন ইনস্টিটিউট (টিআইআই) উদ্ভাবিত জেনারেটিভ এআই মডেল ফ্যালকনের মতো উদ্ভাবনের উদ্ধৃতি দিয়ে বৈশ্বিক এআই উৎকর্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাত তথা মধ্যপ্রাচ্যের যুক্ত হওয়ার প্রশংসা করেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও তা থেকে টিকে থাকতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চাবিকাঠি হলো এআই। এটি এক দুর্দান্ত সময়, যেখানে ভবিষ্যতের সব বাধা অতিক্রমে সহযোগী হবে প্রযুক্তি।

দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন প্রযুক্তিগত পারদর্শী হয়ে উঠছে। যানবাহনের প্রায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে বেশ কিছু মাইক্রোকম্পিউটার। স্বয়ংক্রিয় চালকহীন গাড়ি এখন বিশ্বের বহু শহরে দৃশ্যমান।

বিশ্বের আধুনিক এয়ারপোর্টের এক টার্মিনাল থেকে অন্য টার্মিনালে সংযোগকারী ট্রেন চলছে চালকহীন, পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিয়েছে স্বয়ংক্রিয় রোবট, ইমিগ্রেশন সামলাচ্ছে আধুনিক মেশিন। আধুনিক অফিস, ব্যাংক, হাসপাতাল, ব্যবসা-বাণিজ্য, খেলাধুলা– সবখানেই এখন কম্পিউটার প্রোগ্রাম ও বহুমাত্রিক অ্যাপে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার চলছে। স্যাটেলাইট কার্যক্রমের সব ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় এআই। ব্যাংকের একেকটা এটিএম মেশিন পুরো একটি ব্যাংকের শাখার কাজ নির্ভুলভাবে সম্পাদনায় পারদর্শী। সূত্রঃ সমকাল

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.