রাজশাহীর বাঘায় রান্নাঘর থেকে মেরিনা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১১টায় বাঘা পৌরসভার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের স্বামী আবুল কালামের বাড়ির রান্নাঘর থেকে ঝুলন্ত এই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মেরিনা খাতুনের বাবা আসলাম আলী বলেন, মেরিনা খাতুনের সামাজিকভাবে ১৩ বছর আগে বাঘা পৌরসভার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের রাহাত আলীর ছেলে আবুল কালামের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে কারনে অকারনে মেয়েকে নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মাঝে মধ্যে আমার কাছে চলে আসতো। বুঝিয়ে আবার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। মেয়ে রান্নাঘরের তীরের সাথে ঝুলে আছে, পরিবারের পক্ষে কেউ খবর দেয়নি। প্রতিবেশির কাছে থেকে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি রান্নাঘরের তীরের সাথে ঝুলছে। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
মেরিনা খাতুনের বাবার বাড়ি বাউসা ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে। তার এক মাত্র ছেলে রিমন আলী তিন বছর আগে পানিতে ডুবে মারা যায়।
মেরিনা খাতুনের মা সালেহা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জামাই আবুল কালাম একজন নেশাগ্রস্থ ছেলে। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে কোন শান্তি দেয়নি। সব সময় অত্যাচার করেছে। মেয়েকে হত্যা করে রান্নাঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
মেরিনার স্বামী আবুল কালাম বলেন, আমাদের এক মাত্র সন্তান বছর তিনেক আগে পানিতে ডুবে মারা যায়। তারপর থেকে আমার স্ত্রী মানষিক ভারসাম্যহীনের মতো হয়ে যায়। কোন সময়ে ভাল থাকে, আবার কোন সময়ে মানষিক ভারসাম্যহীনের হয়ে যায়। সোমবার সকালে বাড়ির বাইরে যায়। আমার অনুপস্থিতিতে রান্নাঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।
বাঘা থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।