নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবিঃ বর্ণিল আয়োজনে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের ফুল ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নাসরিফাতুন নাঈম বলেন, ভর্তি যুদ্ধ শেষে নীল সাদা বাসের মতিহারের সবুজ চত্বরে ভর্তির হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। ৭৫৩ একরের এ ক্যাম্পারে প্যারিস রোড, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, প্রশাসনিক ভবন, কাজী নজরুল মিলনায়তন, শহীদ মিনারসহ প্রতিটি স্থান আমাদের মুগ্ধ করেছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বড় ভাই-বোন ও সম্মানিত শিক্ষকদের স্নেহপূর্ণ ভালোবাসায় আমরা মুগ্ধ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির (শিক্ষা) বলেন, শিক্ষা জীবন সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, সামাজিকীকরণের সময়। নবীন শিক্ষার্থীরা সকল ক্ষেত্রে শৃঙ্খলার সঙ্গে সময়ানুবর্তিতা মেনে চলবে এটা একান্ত প্রত্যাশিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পবিত্র অঙ্গনে নানা মত, নানা স্থানের শিক্ষার্থীরা এসেছে। তাদের সবার লক্ষ্য এক আর তা হচ্ছে উচ্চশিক্ষার আলোয় নিজেদের বিকশিত করা, দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের মেধা ও মননকে নিবেদিত করা।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার এক পবিত্র অঙ্গন। এখানে মুক্ত চিন্তার পরিবেশে শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিবেদিত করবে এটা একান্ত প্রত্যাশিত। তারা নিবেদিতভাবে শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে নিজেদের বিকশিত করে সম্ভাবনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরন্তর রত থাকবে এটা সবাই আশা করে। তারা সে আশা পূরণ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়াও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে তারা কাজ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, শিক্ষা জ্ঞান লাভের একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে নিজ জীবন ও সমাজকে আলোকিত করা শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। সুশিক্ষিতরা দেশ ও জাতির সম্পদ। শিক্ষা মানুষের পরমাত্মাকে মানবকল্যাণে বিকশিত করে। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। শিক্ষা সেই সম্ভাবনার শক্তি ও সম্পদ বিকাশের একটি বাহন। নবীন শিক্ষার্থীরা এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের সম্ভাবনাকে বিকশিত করে।
নবীন বরণে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম ও জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ প্রায় চার হাজার নবীন শিক্ষার্থী।