নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর দিয়াড় মানিকচক (ডিএমসি) সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক কিশোর নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ৯টার দিকে দিয়াড় মানিকচক (ডিএমসি) সীমান্তের কাছে জমিতে ঘাস কাটতে যায় উপজেলার চরআষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের বারীনগর গ্রামের হাসিবুল ইসলাম ওরফে হাসিবুরের ছেলে সমিরুল ইসলাম ওরফে সামিউল (১৫)। এ সময় ভারতীয় সীমান্তের চর আষাড়িয়াদহ ফাঁড়ির বিএসএফ জওয়ানরা সমিরুলকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই কিশোর সমিরুল ইসলাম নিহত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৫৩ ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেন। ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গোদাগাড়ীর ৯নং চরআষাড়িয়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল হক ভোলা জানান, সমিরুল ওরফে সামিউল বৃহস্পতিবার সকালে ডিএমসি সীমান্তের ৫নং সীমান্ত পিলার এলাকার জিরো লাইন থেকে ১৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে ঘাস কাটছিল। এ সময় ভারতের চরআষাড়িয়াদহ বিএসএফের একটি টহল দল তাকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই সমিরুল নিহত হয়। খবর পেয়ে বিজিবির সাহেবনগর ও দিয়াড় মানিকচক ফাঁড়ির দুটি টহল দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা কিশোর সমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, সাহেবনগর ও ডিএমসি এলাকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে। কাঁটাতারের বেড়ার কাছে কাউকে না যেতে মাঝে মাঝে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়। তবে সমিরুল সীমান্তের জিরো লাইন থেকে বাংলাদেশের ১৫০ গজ ভেতরে ঘাস কাটছিল। বিএসএফ সম্পূর্ণ উস্কানিমূলকভাবে গুলি করেছে। সীমান্তের কাঁটাতারের কাছে কাউকে যেতে দেখলেই গুলি করে।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম জানান, কিশোর সমিরুল ওরফে সামিউলের লাশ বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার করেছেন বলে তিনি খবর পেয়েছেন। আইন অনুযায়ী লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।