নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামাপূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন মন্দিরে ও বাড়িতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়ি, শ্মশান ও মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্বালন করে স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।
এছাড়াও নগরীর কয়েকটি মন্দিরে দেওয়া হয় পাঠা বলি।
নগরীর কুমারপাড়ায় বড়দা কালিমন্দির ও সিপাইপাড়ার নাককাটি কালি মাতার মন্দিরে পাঠা বলি দেওয়া হয়েছে। এই দুই মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিত ছিল অনেক।
হিন্দু পুরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্মময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয়। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।