রোরবার কাবাঘর তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সৌদি গেজেট জানিয়েছে, যারা হজ পালন করবেন, তারা রোববার বিকেলে কাবাঘর প্রদক্ষিণ করেন। সোমবার সারাদিন-রাত তারা তাবুনগরী মিনায় ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে দিয়ে কাটাবেন।
এবার রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি হজ পালন করবেন বলে জানিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন মুসল্লি হজ পালন করতে গেছেন।
দ্য ইকনমিক টাইমসের রিপোর্ট জানায়, এ বছর ভারত থেকে ২২ হাজার মানুষ হজ পালন করতে গেছেন। চার হাজার ৩১৪জন নারী পুরুষ অবিভাবক ছাড়া হজ করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে দিল্লি থেকে যাচ্ছেন ৩৯ জন।
সৌদি আরব যে তথ্য দিয়েছে তাতে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ পৌঁছেছেন স্থলবন্দর দিয়ে। ছয় হাজারের বেশি মানুষ গেছেন সমুদ্রবন্দর দিয়ে, বাকিরা বিমানে।
করোনার সময় সীমিতভাবে হজ হয়েছিল। ২০২০ ও ২০২১ সালে বাইরের দেশ থেকে কাউকে হজ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালে কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়। ১০ লাখ মানুষকে হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়। এবার হজ হচ্ছে একেবারে স্বাভাবিক সময়ের মতো।
রোববার কাবাঘর তাওয়াফের পর তারা তাবুনগরী মিনায় পৌঁছেছেন। সোমবার সারাদিন এবং রাত তারা মিনাতেই কাটাবেন ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে দিয়ে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তারা জিকির করবেন, জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়বেন।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার জন্য মঙ্গলবার সকালে তারা জড়ো হবেন প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত আরাফাতের ময়দানে। সেলাইছাড়া সাদা এক কাপড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন।
মুসলমানদের কাছে পবিত্র এই ভূমিতে যার যার মতো সুবিধাজনক জায়গা বেছে নিয়ে তারা ইবাদত করবেন; হজের খুতবা শুনবেন এবং জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন।
আরাফাত থেকে তারা মিনায় ফিরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন।
বুধবার সকালে মিনায় ফিরে তারা প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়বেন। এরপর কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ করবেন এবং সবশেষে কাবা শরিফকে প্রদক্ষিণ করে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।