মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই হাইকোর্টের সামনে কর্মসূচি

প্রিয় রাজশাহী ডেস্ক: আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের মানববন্ধন কর্মসূচির তিন দিন আগে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীরাও একই কর্মসূচি পালন করবেন। বিএনপির ডাকা অবরোধের মধ্যে দুপুর ১২টায় হাইকোর্টের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, হয়রানি ও জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই হাইকোর্টের সামনে এই মানববন্ধন হবে।

এ জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি তোলা হয়েছে।আইনজীবীসহ বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীরা যখন হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধন করবেন, প্রায় একই সময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে করা নাশকতার মামলার জামিন শুনানি হবে উচ্চ আদালতে।

হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে ইস্যুভিত্তিক সমাবেশ, মানববন্ধনসহ কিছু জনসম্পৃক্ত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

এরই মধ্যে কারাবন্দি নেতাদের স্বজনদের ব্যানারে মানববন্ধন ও শ্রমিক সমাবেশ করেছে বিএনপি।

মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচি নিয়ে তোড়জোড় বিএনপির

মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচি জোরালোভাবে পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। তবে এদিন রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি আওয়ামী লীগ। ফলে বিএনপি মানববন্ধনের অনুমতি পাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

গত সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা-মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর কর্মসূচি সফল করতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জেলা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।

ঢাকা মহানগর বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, মানববন্ধনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি না পেলে গুম হওয়া পরিবারের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ কর্মসূচি পালন করবে, তাতে বিএনপি নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। জেলা ও মহানগর পর্যায়ে অনুমতি না পেলে সেখানে বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী ও নারী সংগঠনগুলোকে কর্মসূচি পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, অনুমতি দেওয়া হবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

ড. মহিদ বলেন, ‘১৫ নভেম্বর তফসিলের পর থেকে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার জন্য সব সংস্থা কাজ করছে। এখন নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, আমাদের বিবেচনায় নিতে হয়। নির্বাচন কমিশনও সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে, এ অবস্থায় কোথাও কিছু করতে গেলে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণকে আমরা স্বাগত জানাব। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ ডিএমপি অনুসরণ করবে।’

অবশ্য বিএনপি নেতারা বলছেন, মানবাধিকার দিবসের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া না হলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশিদের তা নজরে আসবে।

আ. লীগের কর্মসূচি শিল্পকলাতে

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী রবিবার ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনাসভা করবে আওয়ামী লীগ।

এর আগে বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর’ দ্রুত বিচারের দাবিতে মানবাধিকার দিবসে বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

তবে অনুমতি না মেলায় কর্মসূচি বদলে সেদিন তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনাসভা করার ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন দলটি। সেই কর্মসূচিতেও পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনাসভা করবে আওয়ামী লীগ।

এর আগে দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবসে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন কমিশন মানবাধিকার দিবসে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে, সেহেতু আমরা সমাবেশ করব না। তবে দিবসটি ঘিরে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া কর্মসূচি থাকবে।’ সূত্র: কালের কন্ঠ

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.