বৃহস্পতিবার | ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

প্রিয় রাজশাহী ডেস্ক: উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর। চলিত সপ্তাহে দুইদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা। এতে করে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত সম্ভাবনা নাই। এছাড়া এই মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার লেপ-তোশকের দোকানে। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়েছে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে মানুষ পিঠার স্বাদ উপভাগ করছেন।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের ইটভাটার শ্রমিক সবুজ ইসলাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন দিন ধরি ভাটায় যাইনি। দুই দিন বৃষ্টি। গতকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার কারণে বাসায় বসে আছি।

ভ্যানচালক রাব্বি ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুই দিন বৃষ্টির পরে শীত বেশি হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যায় রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। ঠিকমতো ভাড়া হচ্ছে না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এভাবে চলতে থাকলে তো না খেয়ে থাকতে হবে। এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। চলিত সপ্তাহে টানা দুই দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হওয়ায় তাপমাত্রা কমেছে। চলিত সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা নাই। তবে ডিসেম্বর মাস শেষে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.