নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ও প্রাণ নাশের হুমকী সহ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর লক্ষীপুর মোড়ের একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহকারী কর আদায়কারী পদে চাকুরী প্রার্থী কাঁকনহাট পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মোর্তুজা শেখ এর মেয়ে সানজিদা শেখ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় কাঁকনহাট পৌরসভায় বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োড় প্রদারে লক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক সময়ের মধ্যে তারা আবেদন করেন। আবেদনের শেষ তারিখ ছিলো গত ৩ডিসেম্বর-২০২৩। আর পরীক্ষার তারিখ দেয়া হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর-২০২৩ ইং। কোথায় পরীক্ষা হবে এ বিষয়ে জানতে কাঁকনহাট পৌর মেয়র এ.কে.এম আতাউর রহমান খান এর সাথে যোগাযোগ করলে মেয়র বলেন, সকল পদে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন অত্র পৌর সভার মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম এর যোগসাজসে নিজস্ব প্রার্থীদের নিকট হতে অবৈধভাবে টাকা আদান প্রদান পূর্বক এই নিয়োগ কার্যক্রমের কাজ নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহনের পূর্বেই শেষ করেছেন তারা। এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম পূর্বে অন্য কর্মস্থলেও অবৈধ ভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ করে বলেন, এর যথাযথ প্রমান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন লোক মারফত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ১নং স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পদের জন্য পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার নিজস্ব প্রার্থী একজন, ২নং ষ্টোর কিপার পদের জন্য পৌর মেয়রের নাতী শিহাব উল্লাহ, ৩নং সহকারী কর আদায়কারী পদের জন্য মহসিনা আক্তার, ৪নং সার্ভেয়ার পদের জন্য ইফতেহাদ আহম্মেদ স্বপন, ৫নং নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য ডাক নাম হিমেল, ৬নং অফিস সহায়ক পদের জন্য মেহেদী হাসানকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করবেন বলে জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অরো উল্লেখ করেন এ নিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ এবং প্রান নাশের জন্য গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। তিনি বলেন তারা সবাই প্রার্থী। পরীক্ষায় যিনি ভাল করবেন, তিনি চাকরী পাবেন। এটাইতো নিয়ম। কিন্তু কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তা মেনে আরো দুই একজন নেতা ও পৌর কাউন্সিলকে সাথে নিয়ে যোগসাজস করে এটা তারা করছেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয় এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করলে মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমাকে এবং আমাদের অভিভাবকদের প্রান নাশের হুমকী ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা অব্যাহত রেখেছে। এ অবস্থায় তারা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রাণ ভয়ে দিনাদিপাত করছেন বলে উল্লেক করেন। তিনিসহ সংবাত সম্মেলনে উপস্থিত সকলেই এই অবৈধ নিয়োগ বাতিল এবং প্রাণ নাশের হুমকীদাতাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের আওতায় এন শাস্তির দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কাঁকনহাট ফেরসভার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মোর্তুজা শেখ, গুলজার হোসেন কনক, চাকুরী প্রার্থী ইকবাল হোসেনসহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে কাঁকনহাট পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন সততার সাথে হবে। কোন প্রার্থী অর্থ লেনদেন করেছেন কিনা তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। নিয়োগ বিষয়ে কোন প্রকার অন্যায়ের সাথে আপস করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন রেজাউল করিম।