নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ পানি উনয়ন বোর্ড (বাপাউবো) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর আওতায় বাস্তবায়িত জরুরী আপদকালীন ও বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের দীর্ঘদিনের বকেয়া অর্থ পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন পাউবো রাজশাহী ঠিকাদার কল্যাণ পরিষদ।
বুধবার বেলা ১১ টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোড়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল ঠিকাদাররা অংশ নেন। এ সময় পাউবো ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনকালীন পদ্মা নদী রক্ষায় সবার আগে ছুটে আসেন ঠিাকাদাররা। তবে বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও বকেয়া অর্থ মন্ত্রনালয় থেকে ছাড়া করা হয় না। স্থানীয় পাউবো কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরাও থাকেন উদাসিন।
ঠিকাদাররা বলেন, গত তিন বছর ধরে বর্তমান সময় পর্যন্ত রাজশাহী পওর বিভাগে আপনকালীন কাজের বকেয়া পড়েছে ১৩ কোটি টাকা। এছাড়া পাবনা পওর সার্কেল, বগুড়া পওর সার্কেলের ঠিকাদাররা বকেয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছে। রাজশাহীর এক ঠিকাদার জানান, তিনি রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কাজ করছেন। এরমধ্যে রাজশাহীতে ৩শ ৫০ কোটি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০০ কোটি প্রকল্পে অর্থ বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে ঠিকাদারারা বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে দেন দরবারও অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয় নি।বক্তারা আরো বলেন, পাওয়াদারদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। ঋণ খেলাপি হয়ে গেছি। জিও ব্যাগের দাম দিতে পারছিনা। সিমেন্ট, পাথর ও বালুর দামও বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ হয় নি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থ ছাড়া না দিলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুশিয়ারি দেন বক্তারা।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক জামাত খান বলেন, রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ মিলে প্রায় ৩৫ জন ঠিকারদার রয়েছেন। বিশাল টাকা বকেয়ার কারণে চরম হতাশায় ভুগছেন তারা। তিনি বলেন, বাকীতে কাজ করে সময়মত অর্থ পাওয়া না গেলে আগামীতে ঠিকাদাররা আপদকালীন কাজ করার আগ্রহ পাবেনা।
বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক জামাত খান, উপদেষ্টা তপন সেন, সিনিয়র ঠিকাদার খন্দকার হাসান কবীর, ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নেতা গোলাম নবী রণি, ঠিকাদার কেএম জুবায়েদ প্রমুখ।
পরে ঠিকাদার কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে বাপাউবোর মহাপরিচালক বরাবর রাজশাহী পাউবো জোনের প্রধান পৌকশলীর মাধ্যমে স্মরকলিপি পেশ করা হয়। পরে ডাকযোগে স্মাকলিপির অনুলিপি অর্থমন্ত্রী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাপাউবোর মহাপরিচালক, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষনের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরও পাঠানো হয়।