নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রাজশাহী সার্কেল কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অফিসে অভিযান চালান দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এসময় বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়। এছাড়া দুদক কর্মকর্তারা বিআরটিএ‘র কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন।দুদক কর্মকর্তারা জানান, বিআরটিএ অফিসে কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়, এমন অভিযোগ পেয়ে তারা অভিযান চালিয়েছেন।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, দুদক কমিশনে অভিযোগ গেছে যে এখানে ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক এই অভিযান চালানো হলো। বেশকিছু ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এই লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হবে তারা ঘুষ দিয়েছেন কি না। সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনের অভিযানেই তারা যে সমস্ত অভিযোগ পেয়েছেন তা দিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দিতে পারবেন।
কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ উঠতেই পারে। এর সত্যতা খুঁজে দেখবে দুদক। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে বিআরটিএ’র রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন বলেন, ঘুষ না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়া হয় এটা সত্য নয়। কারণ, পরীক্ষা নেওয়ার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি থাকেন। আমরা সহযোগিতা করি। যেটা হয় তা হলো প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বের হলেই তাকে মধ্যস্বত্ত্বভোগী কেউ ধরে ফেলে। তারা আমাদের নাম ভাঙায়। আর আমাদের অফিসেও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। আমরা বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।
তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ঢাকায় সভা ছিল। তিনি সেই সভায় যোগ দিয়েছিলেন। তাই দুদকের অভিযানের সময় অফিসে ছিলেন না। তারা কোন অভিযোগে এসেছিলেন, কী নথি নিয়েছেন তা অফিসে যাবার পরে তিনি বলতে পারবেন।