নিজস্ব প্রতিবেদক: নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো) পিএলসি’র পিচরেট কর্মচারীদের চাকুরী দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিন্তু অদ্যবধি কারো চাকুরী তিনি দেননি। তারা রেট ভিত্তিতে ২০-২৫ বছর ধরে মিটার রিডিং এর কাজ করে আসছেন। বর্তমানে স্মার্ট প্রি-প্রেইড মিটার স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। এটা সম্পূর্ন বাস্তবায়ন হলে এই সহশ্রাধিক মিটার রিডারগণ বেকার হয়ে পড়বে। কারন তখন গ্রাহকরাই অগ্রিম টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ ক্রয় করে ব্যবহার করবেন। এমনটাই বলছিলেন পিচরেট কর্মচারী ঐক্য পরিষদ রাজশাহী জেলার সভাপতি গোলাম কবীর।
রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর হেতম খাঁ নেসকো প্রধান কার্যালয়ে প্রথমে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল থেকে তাদের চাকুরী প্রদানের জন্য নানা ধরেনর স্লোগান দেন। এরপর মূল ভবনের সামনে সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে গোলাম কবীর আরো বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে তারা কর্মবিরতী শুরু করেছেন। এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও কর্র্তৃপক্ষ এখনো তাদের নিয়ে কোন আলোচনায় বসেননি। যতদিন আলোচনায় না বসবেন বা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করবেন, ততদিন পর্যন্ত তারা কর্মবিরতী চালিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৫৫টি অফিসের প্রায় এক হাজার দুইশত জন কর্মচারী কর্মবিরতী করছেন। সেইসাথে তারা কর্মহীন হওয়ার আসংখ্যায় জীবন-যাপন করছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্মার্ট দেশে রুপান্তরিত হচ্ছে। এ জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা স্মার্ট দেশ বা স্মার্ট প্রি-প্রেইড মিটারের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু এতগুলো লোককে কর্মহীন না করে বিভিন্ন দপ্তরে সংযুক্ত করে প্রতিটি পরিবারকে বাঁচানোর জন্য সমাবেশ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।