মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্রুত এই সরকারের পতন হবে: কালো পতাকা মিছিলে মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ সরাসরি প্রত্যাখান করেছে। নির্বাচনে ৩ পার্সেন্ট ভোটও পরেনি। এর পরেও এই নির্বাচনকে বৈধ করার জন্য প্রায় ৪২ পার্সেন্ট ভোট কাস্ট হয়েছে বলে মিথ্যাচার করেছে আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার। শুধু তাই নয় বিদেশীদের সমর্থন নিয়েও মিথ্যাচার করছে সরকার। এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকার যতই চেষ্টা করুক কোনভাবেই থাকতে পারবে না। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ফ্যাসিস্ট বাকশালী সরকারের পতন হবে।

বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত কালো পতাকা মিছিলের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর শালবাগানে শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে চাল, ডাল, তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সকল দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ নির্বাচন বাতিলসহ এক দফা দাবী আদায়ের লক্ষে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক ও জনগণের দল। এ দল জনগণের কথা বলে। বর্তমানে দেশে নিত্য দ্রব্যের অস্বাভাবিকহারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও দেশকে এই বাকশালী সরকার কারাগারে পরিণত করে রেখেছে। কারো কোন স্বাধীনতা নাই। জনগণ ও সকল দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে দাবী আদায়ের জন্য মিছিল- মিটিং করা। অথচ এই ডামি সরকার পুলিশসহ আইনশৃংখলাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের দিয়ে বাধা প্রদান করছে। দেশের ৪৬৪ জেলায় চলা এই মিছিল থেকে অনেককে আটক করা হয়েছে। অনেক স্থানে মিছিল করতে দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড, মঈন খানকেও আটক করতে দ্বিধাবোধ করেনি আজ্ঞাবহ এই আইনশৃংখলা বাহিনী।

তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতেও পুলিশ বিএনপি’র কালো পতাকা মিছিল করতে দেয়নি। তাদের বাধা প্রধান করেছে। কিন্তু বিএনপি ইচ্ছা করলে সকল বাধা অতিক্রম করে মিছিল করতে পারে। বিএনপি এখনো ধর্য্যধারণ করে আছে। কিন্তু আগামীতে আর ধর্য্যধারণ করবে না। বিএনপি ঘোষিত সকল আন্দোলন কঠোরভাবে করা হবে বলে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের সর্বদা আন্দোলনের মধ্যে থাকার আহ্বান জানান মিনু। সেইসাথে গণতন্ত্র হত্যাকারী বাকশালী সরকারকে একদফা আন্দোলনের মাধ্যমে বিতারিত করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে উল্লেখ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবী করেন মিনু।

শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, যুবদলের সাবেক ষভাপতি মোস্তফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা ইকবাল ও ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আব্দুস শুকুর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা সকিনা খাতুন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জরিনা, রোজি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক সিফাত আরা জেরিন তুলি, শাহ্ মখুদুম থানা বিএনপি, যুবদল, মহিলাদল ও ছাত্র দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।

এদিকে, বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বোয়ালিয়া থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে চাল, ডাল, তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ সকল দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ নির্বাচন বাতিলসহ এক দফা দাবী আদায়ের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা বলেন, এই সরকার ডামি নির্বাচন করে এখন আবার তামাশার সংসদ বসিয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি’র ডাকে বাংলাদেশের মানুষ ডামি নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। এ থেকে বোঝা যায় এই সরকারের জনপ্রিয়তা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। এখন তারা আবার পূর্বের ন্যায় একই ধরনের কর্মসূচি দেয়া শুরু করেছে। একটি অগণতান্ত্রিক ও সন্ত্রাসীদল দল তারা আবার শান্তির মিছিল করছে। এগুলো করে কোন লাভ নেই। আগামী ছয়মাসও লাগবেনা এই সরকারের পতন হতে। কঠোর আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই ডামি সরকারকে বিতারিত করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বক্তব্য শেষে নেতৃবৃন্দ রাজশাহী মহানগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কালোপতাকা মিছিল বের করে মালোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দিয়ে সোনাদিঘী যেতে চাইলে পুলিশ মালোপাড়া হার্ডওয়ারপট্টিতে বাধা প্রদান করে পুলিশ। পুলিশ মিছিলকে আর এগুতে দেয়নি। পরে তারা সেখানেই সরকার পতনের জন্য নানা ধরনের স্লোগান দিতে দিতে ফিরে এসে পার্টি অফিসের সামনে আবারও তারা বিক্ষোভ করে নেতবৃন্দ।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য ও সাবেক এমপি জাহান পান্না, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচি মামুন অর রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, শাফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নাল আবেদীন শিবলী ও বজলুল হক মন্টু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিপন, বর্তমান সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, মহানগর জাসাস এর সদস্য সচিব সেলিম রেজা, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকিসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.