বলিউড তারকা সালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেমের কথা জানেন না এমন মানুষের খোঁজ পাওয়া ভার। সঞ্জয় লীলা বানশালী পরিচালিত ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ এর সেটে তাদের প্রেমটা শুরু হয়েছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকের অন্যতম আলোচিত জুটি তারা। তাদের প্রেম, বিচ্ছেদ, তারপর একে-অপরের মুখ না দেখা সব মিলিয়ে সেই সময় প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকতেন এই দুই তারকা। এক সাক্ষাতকারে ঐশ্বরিয়াকে মাছির সঙ্গে তুলনা করেন সালমান। যদিও এ বিষয়ে ঐশ্বরিয়ার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। অভিনেত্রীর দাবি, সালমান নাকি তার ওপর অধিকারবোধ খাটাতেন। এমনকি ঐশ্বরিয়ার গায়ে হাত তুলতেন ভাইজান, এমনটাও কানাঘুষো শোনা যায়। সালমানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন ঐশ্বরিয়া।
ঐশ্বরিয়ার বিয়ের তিন বছর পর ২০১০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘গুজারিশ’ ছবিটি। ছবির পরিচালনার করেন সঞ্জয়। মুক্তির পর সাবেক প্রেমিকাকে কটাক্ষ করে বসেন সালমান।
ওই সিনেমায় মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেন ঐশ্বরিয়া। তার বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেন হৃতিক রোশন। ছবির অধিকাংশ দৃশ্যে হুইলচেয়ারে বসে থাকতে দেখা যায় হৃতিককে। হৃতিকের অভিনয় প্রশংসিত হলেও ‘গুজারিশ’ ছবিটি বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয়। এর পর ঐশ্বরিয়াসহ সবাই সালমানের বক্রোক্তির শিকার হতে শুরু করেন।
‘গুজারিশ’ ছবির বিষয়ে সালমান বলেন, ‘ওই ছবিতে খালি মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কোনো মশাও দেখতে যায়নি ছবিটা। এমনকি একটি কুকুরও ছবিটি দেখতে যায়নি।’
ভাইজানের বক্তব্য শুনে বলিপাড়ার সবাই চমকে উঠেছিলেন। সালমান যে ঐশ্বরিয়াকে উদ্দেশ করে ‘মাছি’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন তা বুঝতে কারও বাকি থাকে না। এমনকি ছবির পরিচালককেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তিনি।
সালমানের মন্তব্য শুনে দুঃখ প্রকাশ করে সঞ্জয় বলেন, ‘আমার বহু পুরনো বন্ধুই যদি আমার সম্পর্কে এমন কথা বলে, তাহলে বিনোদন জগতে থাকার অর্থ কোথায়?’