বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ্বাসের কখনো ব্যত্যয় ঘটাননি শহীদ কামারুজ্জামান ঃ খায়রুজ্জামান লিটন
রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবা করার নজির স্থাপন করেছিলেন শহীদ কামারুজ্জামান ঃ প্র. আবুল কাশেম
বঙ্গবন্ধুর রক্তবন্ধু, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পুনরায় নির্বাচিত মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. আবুল কাশেম। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যে জাতীয় চার নেতা নেতৃত্ব দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম একজন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান। তাঁর প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অগাধ বিশ^াস। তাইতো ১৯৭৪ সালে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে এএইচএম কামারুজ্জামানকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও বিশ^াসের কখনো ব্যত্যয় ঘটাননি শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান। তিনি ছিলেন ব্যক্তিগত লোভের ঊর্ধ্বে।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, দেশে যখন নির্বাচন আসে, তখন নানা ষড়যন্ত্র হয়। রাজশাহীতেও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমরা বিজয় অর্জন করবো ইনশল্লাহ। দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। এজন্য আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করে যাব।
সভায় প্রধান বক্তা প্রফেসর ড. আবুল কাশেম বলেন, এএইচএম কামারুজ্জামান ধারাবাহিকভাবে অগ্রসর হয়ে উপরের দিকে গেছেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন। ১৯৭০ সালের জুন মাসে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। সেই নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ২৮ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্রটি এএইচএম কামারুজ্জামানের নামে প্রকাশিত এবং সেটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন দর্শন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আলাদা নির্বাচনী ম্যানিফেস্টু ছিল না। ২৮ পৃষ্ঠার সেই দলিলকে উপজীব্য করে মানুষের কাছে ভোট চাওয়া হয়েছিল। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে। এসব ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। আমাদের পূর্ব প্রজন্ম কেমন ছিলেন, আমাদের জন্য তারা কত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, সেটি জানতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান পিতা বা পিতামহের টাকা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি দিতে পারতেন, তিনি বড় ব্যবসা করতে পারতেন, ভালো চাকরি করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেগুলোর কোনদিকে না গিয়ে রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবা করার ব্রত নিয়েছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবার নজির স্থাপন করেছিলেন। এজন্য তিনি জনগণের কাতারে এসেছিলেন। অন্য জাতীয় তিন নেতারও অনুরূপ ইতিহাস। জাতীয় চার নেতা জনগণের কাতারে থেকে জনসেবা করার ব্রত নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তারা রাজনীতির উচ্চতর শিখড়ে আরহণ করতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জাতীয় চার নেতা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বে দিয়েছেন, এটি তাদের অসাধারণ অর্জন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু,শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য মুশফিকুর রহমান হাসনাত, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, আখতারুল আলম, আলিমুল হাসান সজল, বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু,নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ নেতৃবৃন্দ।