মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী বিভাগে কুরবানির জন্য প্রস্তুত ৪১ লাখ পশু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন কুরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় কুরবানির জন্য প্রস্তুত প্রায় ৪১ লাখ গবাদি পশু। এই বিভাগের কুরবানির পশুর চাহিদা অনুযায়ী ২৫ লাখ পশু রেখে বাকি ১৬ লাখ দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হবে।

খামার মালিক ও ক্ষুদ্র চাষীরা বলছেন, খাবারের দাম বেশি থাকায় পশু পালনে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। সে অনুযায়ী পশুর দাম না থাকলে তাদেরকে লোকসানে পড়তে হবে।

এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে, কুববানির পশুকে অধিক লাভের আশায় দ্রুত মোটাতাজাকরণের ইনজেকশন বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কুরবানির পশু বাজারে তোলার আগ মুহূর্তে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামার মালিক ও ক্ষুদ্র চাষীরা। ইতোমধ্যে পশুর দরদামও শুরু হয়েছে খামারগুলোতে।

পশু পালনকারীরা বলছেন, এ বছর খাবারের দাম বেশি থাকায় পশু পালনে ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই সে অনুযায়ী পশুর দাম না পেলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন ক্ষুদ্র খামারিরা।

রাজশাহী জেলার দামকুরা থানার খামারি আব্দুল্লাহ জানান, তার পাঁচটি গরু রয়েছে কুরবানির ঈদে বিক্রির জন্য। তার প্রত্যাশা প্রতিটি গরু দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করবেন। কিন্তু ১ লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার উপরে কেউ দাম বলছে না। ফলে এক লাখ ৩০ হাজার টাকার মধ্যেই গরুগুলো বিক্রি করতে হতে পারে মনে করছেন তিনি।

একই এলাকার আরেক খামারি সুফিয়ান জানান, গো-খাদ্য ও মাংসের দাম বাড়লেও খামার মালিকরা লাভবান হতে পারছে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভের টাকা পাচ্ছে। সারা বছর ধরে গরু পালন করলেও প্রত্যাশিত লাভে গরু বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় এবার কোরবানিতে ২৫ লাখ পশুর চাহিদার বিপরীতে ৪১ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। বাকি ১৬ লাখ দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হবে।

‘কুরবানির পশুকে অধিক লাভের আশায় দ্রুত মোটাতাজাকরণের ইনজেকশন বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে খামারিদের সচেতন করা হচ্ছে।’

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহুম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, এ বছর রাজশাহী বিভাগে চাহিদার তুলনায় কুরবানির পশু বেশি থাকায় ন্যায্য মূল্য থাকবে। এছাড়া রাস্তার ধারে কোনো পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না। কেউ পশুকে অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার খাওয়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.