নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এবছর রাজশাহী জেলায় চাহিদার চেয়ে লক্ষাধিক বেশি কোরবানি যোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাবে ঢাকাসহ অন্য জেলায়। এদিকে জেলার সাপ্তাহিক হাটগুলোতে পশুর পর্যাপ্ত আমদানি থাকলেও বেচা-কেনা এখনও পুরোদমে জমে ওঠেনি। তাই পশু বিক্রি না করেই ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় কাঙ্ক্ষিত পশুপালনের বাড়তি খচর ওঠানো যাচ্ছে না।
সাপ্তাহিক হাটের দিনে রাজশাহী সিটি হাটে খুব সকালে দল বেঁধে কোরবানির যোগ্য গরু নিয়ে আসতে থাকেন বিক্রেতারা।
তবে এখনো হাটে কোরবানির ক্রেতারা আসছেন না। দীর্ঘ অপেক্ষাতেও পশু বিক্রি করতে পারেননি অনেকে। ক্রেতা হিসাবে বেপারিদের সাথে দাম-দর মেলে না।
ক্রেতারা বলছেন, আকার বিবেচনায় গরুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে পশুর বাড়তি যত্ন ও পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে কোরবানির হাট পুরোপুরি জমে উঠবে বলছেন, হাটের ইজারাদার। আর গবাদিপশুকে দ্রুত মোটাতাজা করতে ইনজেকশন কো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানোর অসাধু খামারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার ফারুক হোসেন ডাবলূ বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি আছে। আমরা আশা করি সময়ে সাথে সাথে বিক্রি বাড়বে।
রাজশাহীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আব্দুল হাই সরকার বলেন, সময়ে সময়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি খামারিদের সতর্ক করার জন্য লিফলেট বিতরণসহ অন্যান্যভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবছর রাজশাহী জেলায় কোরবানির জন্য প্রায় ৩ লাখ ২৫ হাজার চাহিদার গবাদিপশুর বিপরীতে প্রস্তুত আছে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি গরু, ৩ লাখ ৪২ হাজার ছাগল ও ৩৪ হাজার ভেড়াসহ অন্যান্য পশু।