প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিজেপিবিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক চলছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে কারণে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেও কার্যত একাই বিজেপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তৃণমূল।
পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার আসন সংখ্যা ৪২টি। বুধবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে ৩৯টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। সেই ফলাফল বলছে, এসব আসনের মধ্যে ২১টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি এবং ১৮টিতে জয় পেয়েছে ইন্ডিয়া জোট। এই জোটের বিজয়ী ১৮ প্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন তৃণমূলের, একজন কংগ্রেসের।
২০১৯ সালের নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর আসনে জয়ী হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী; আর বালুরঘাট আসনে জয় পেয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান সুকান্ত মজুমদার। নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, দুই হেভিওয়েট প্রার্থী এবারের নির্বাচনেও নিজেদের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তার ডায়মন্ড হারবারের আসন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার আসনের এমপি এবং তৃণমূল নেতা মলয় রায়ও তার আসন ধরে রেখেছেন। তবে উত্তর কলকাতা আসনে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের কাছে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল।
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল তার মেদিনীপুরের আসন ধরে রাখতে সফল হয়েছেন। কিছু দিন আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কলকাতার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তমলুক আসন থেকে এবার প্রার্থি হয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের ফলাফল বলছে, সেই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এগিয়ে আছেন তিনি।