নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রোগী দেখেন আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের অদক্ষ ছেলে মেয়েরা। আর জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার জরুরী বিভাগে না বসে, বসে থাকেন ৯ নম্বর এসি রুমে। জরুরী কোন রোগী এলে টিকিট নিয়ে যেতে হয় সেই এসি রুমে। এতে এই এলাকার রোগীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এছাড়া জরুরী বিভাগে অন্য কোন হাসপাতালের চিকিৎসাপত্র নিয়ে ইনজেকশন দিতে আসলে দিয়ে দেওয়া হয় না। জরুরী কোন রোগী হাসপাতালে আসলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
শনিবার সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডাঃ সঙ্গীতা দোস্তাগীর কর্মরত আছেন। কিন্তু তিনি জরুরী বিভাগের রুমে উপস্থিত নাই। তিনি রয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ৯ নম্বর এসি রুমে।
তিনি রেষ্টে থাকার কারণে রাসেল, বাবু, রিমন রহমান, মতিউর রহমান ও মোছাঃ আশা এই ৫ জন আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের অদক্ষ ছেলে মেয়ে জরুরী বিভাগে রোগীদের সেবা প্রদান করছেন। অদক্ষ আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের ছেলে মেয়েরা রোগীদের ইনজেকশন পুস করা, কাটা জাইগা সেলাই করা সহ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছে।
কয়েকজন রোগী নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, আমরা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে এসেছি অথচ এই বিভাগে ডাক্তার নেই। আছে কয়েক জন ছেলে মেয়ে। তারা আমাদের নাম তালিকা ভূক্ত করে। তারপর বলে ৯ নম্বর রুমে যান। সেখানে গিয়ে চিকিৎসা পত্র লিখে এনে ঔষুধ বা ইনজেকশন আনা হলে অদক্ষ আউট সোর্সসিং ও সেবা খাতের এর ছেলে- মেয়েরা রোগীদের ইনজেকশন পুস করা, কাটা জাইগা সেলাই করে দেন।
হাসপাতালে জরুরী বিভাগে থাকা আউট সোর্সসিং এর ছেলে মেয়েরা জানায়, এখানে ডাঃ সঙ্গীতা দোস্তাগীর কর্তব্যরত আছেন। তিনি ৯ নম্বর রুমে আছেন।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল হাসান শাওন জানান, ডাক্তার সংকটের কারণে উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার গণকে আউট ডোরে বসানো হয়েছে। যার কারণে জরুরী বিভাগে এই অবস্থা। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা হবে।