মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদ্রোহের পর যে বার্তা দিলেন আত্মগোপনে থাকা ওয়াগনার প্রধান

বিদ্রোহ নয়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার এবং তার সেনার আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পথে নেমেছিল ওয়াগনার বাহিনী। পুতিনের চাপের মুখে ২৪ ঘণ্টার নাটকীয় সশস্ত্র বিদ্রোহের অবসানের পর প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।

সোমবার ১১ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই দাবি করেছেন। খবর আলজাজিরার।

প্রিগোজিনের দাবি, যখন মস্কো অভিমুখে অগ্রসর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উৎখাতের পরিকল্পনা করছিলেন না।

ওয়াগনার প্রধান আরও দাবি করেছেন, আমরা রাশিয়ার নেতৃত্বকে উৎখাতে যাত্রা করিনি। এই যাত্রার লক্ষ্য ছিল ওয়াগনার গ্রুপের ধ্বংস ঠেকানো এবং সেই সব কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাদের অপেশাদার পদক্ষেপে অনেকগুলো ভুল হয়েছে।

প্রিগোজিন বলেন, রাশিয়ার বিমান বাহিনীর উড়োজাহাজকে আঘাত করতে হয়েছে বলে তারা অনুতপ্ত এবং রুশ সেনাদের রক্তপাত এড়াতে তারা ফেরত এসেছেন।

তার কথায়, আমরা আমাদের প্রতিবাদের জন্য যাত্রা করেছিলাম, সরকারকে উৎখাতে নয়।

প্রিগোজিন বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কেউ চুক্তি করেনি। ফলে ১ জুলাইয়ের মধ্যে তার ভাড়াটে বাহিনী অস্তিত্ব হারানোর কথা।

প্রসঙ্গত, শনিবার ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় প্রবেশ করে ওয়াগনার যোদ্ধারা। তারা রাশিয়ার রোস্তভ শহরের সেনা সদর দফতর নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে তারা মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেয়। পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোজিন মস্কো অভিমুখে না গিয়ে নিজের যোদ্ধাদের ঘাঁটিতে ফিরতে বলেন। তখন প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মামলা প্রত্যাহার করা হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাকে বেলারুশে নির্বাসনের পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল।

 

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.