সোমবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য কাদের মির্জার

প্রিয় রাজশাহী ডেস্কঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়েও বেশি অনিয়ম হয়েছে, ভোটের অনিয়ম না, আমাদের নেতাকর্মীদের অনিয়ম হয়েছে গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে। ১০-১৫ জন, ২০ জন নারী এনে ৫০০ টাকা করে দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কোনো অফিসার কিংবা আমরা যখন যাই, সেখানে তখন তাদের দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোট হয়েছে এই সিস্টেমে। মিথ্যা কথা বলেছি না…। এবারের নির্বাচনে (উপজেলা পরিষদ) ওনারা (কাদের মির্জার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) অনিয়ম করেনি? চরকাঁকড়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক ছেলে আমাদের সঙ্গে থেকে ১০০ ভোট একসঙ্গে মেরেছে দোয়াত-কলম প্রতীকে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বলেন, ‘আমাদের সমাজ থেকে একটা জিনিস আমরা দূর করতে পারিনি। সেটা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এই থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। যে শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি সম্মান করত দেশের মানুষ, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আজকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিতে ডুবে গেছে।’

শুক্রবার বিকালে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাদের মির্জা এ মন্তব্য করেন। কাদের মির্জার বক্তব্যটি দলের নেতাকর্মীরা ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন।

কাদের মির্জা বলেন, ‘থানায় গিয়ে কারও ইজ্জত-সম্মান থাকে না। টাকা দেবেন, আপনি ভদ্রলোক। টাকা দেবেন না আপনি বের হয়ে যান। একটা সালিশও তারা শেষ করতে পারে না। থানায় ঘুরতে ঘুরতে মানুষের স্যান্ডেলের তলা ক্ষয় হয়ে গেছে। বিচার নাই। মানুষ আজকে বিচার পায় না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে— এটার বিকল্প নেই। ন্যায় কথা বলতে গিয়ে নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে যদি যায়, সে কথা বলতে হবে নবনির্বাচিত তিন জনপ্রতিনিধিকে।’

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘অন্যায়কারী আপনাদের ভাই হলেও তাকে কোনো দিন প্রশ্রয় দেবেন না। আমি আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইলেকশন করেছি, ওপরে আল্লাহ জানে। আমি করেছি মনেপ্রাণে। আমি করেছি ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বেয়াদবির জন্য। আমার সঙ্গে বেয়াদবির জন্য। আমরা যখন যার জন্য কাজ করি ইমানদারির সঙ্গে করি।’

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জে ভোট হয়। এতে কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। তবে কাদের মির্জা সমর্থন দেন গোলাম শরীফ চৌধুরীকে।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.