মঙ্গলবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে রাজশাহীতে মসলার ঝাঁজে বেসামাল ক্রেতারা

দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ। আগামীকাল বুধবার (২৮ জুন) রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। তাই কিছু মানুষ এখন কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটমুখী আর কিছু মানুষ কাঁচাবাজারে। আর মসলা হচ্ছে এ কোরবানির ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ। তাই কোরবানির পশু কেনার সঙ্গে সঙ্গে এখন ভিড় বেড়েছে রাজশাহীর মসলার বাজারেও।
রাজশাহীর খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে মূলত সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকেই কাঁচাবাজারে বেচাকেনা বেড়েছে। বিশেষ করে মসলার বাজারে বাড়ছে ভিড়। দুপুর গড়াতেই মানুষ মসলা কিনতে বাজারে ঢুঁ মারছেন। ক্রেতাদের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে এবার বাজারের প্রতিটি দোকানেই পর্যাপ্ত মসলা মজুদ রয়েছে। তবে দাম একটু বেশি!

আর ক্রেতারা বলছেন, একটু নয়, অনেক বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি মসলারই দাম বেড়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা এই দাম বাড়িয়েছেন। ফলে যে দোকানেই যান দাম একই। দরদাম করেও লাভ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বেশি দামেই মসলা কিনেতে হচ্ছে তাদের।

মঙ্গলবার দুপুরে মহানগরীর সাহেববাজারে মসলা কিনতে এসেছিলেন শিরোইল এলাকার গৃহিনী রোজী সিদ্দিকী। তিনি বলেন, আমি প্রতি সপ্তাহে একবার বাজার করতে আসি। তবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আজ মসলার বাজার অনেক গরম। প্রতিটি মসলার ঝাঁঝ লেগেছে দামেও। বাজারে গেলো সপ্তাহের তুলনায় মসলা ভেদে কেজিপ্রতি দাম দুই থেকে তিনশ’ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান এ গৃহিণী।

তবে সাহেববাজারের খুচরা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মিলন স্টোরের মালিক মিলন হোসেন বলেন, দাম যা বাড়ার তা অনেক আগেই বেড়েছে। ঈদে কোনো মসলার দাম নতুন করে আর বাড়েনি। তবে যারা এক মাস বা এরও বেশি সময় পর এখন বাজারে আসছেন তাদের কাছে দামটা বেশি মনে হচ্ছে।

মহানগরীর আরডিএ মার্কেটের পাইকারি মসলা বিক্রেতা মেসার্স সেলিম ট্রেডার্সের মালিক রফিকুল আলম বলেন, পাইকারি বাজারেও মসলার দাম বাড়েনি। মোটামুটি এক মাস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মসলা। কারণ এবার আমদানি ও মজুদ বেশি। তাই নতুন করে দাম বাড়েনি বলেও দাবি করেন পাইকারি মসলার এ বিক্রেতা।

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পাইকারি ও খুচরা মসলার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ছোট এলাচ প্রতিকেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং মাঝারি এলাচ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং বড় এলাচ ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি ভারতীয় জিরা ৯০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৬০০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার টাকা, কালো গোলমরিচ ৮০০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকা, ধনিয়া ১৮০ টাকা, সরিষা ৪০০ টাকা, মেথি ৪৫০ টাকা, তেজপাতা ২২০ টাকা, মিষ্টি জিরা ৫৫০ টাকা, কালোজিরা ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি প্রতিটি মসলা গড়ে ১০ থেকে ১০০ টাকা করে বেড়েছে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে।

পাইকারি মসলা ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, রাজশাহীর বাজারে মসলার দাম এমনিতেই বেশি। এর ওপর কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আরেক দফা দাম বেড়েছে। তাই তাদের বেশি দাম দিয়েই ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে প্রতিটি মসলা কিনে আনতে হয়েছে। এতে আসলে তাদের কারসাজির কিছু নেই, পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামই দায়ী।

Please Share This Post in Your Social Media



© 2023 priyorajshahi.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.