নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটার হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানান তারা। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে বা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে কোটাধারী শিক্ষার্থীরা এমন দাবিও জানান তারা।
এ সময় ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটা হোক অবসান’, ‘ছাত্র সমাজ ভাই ভাই, কোটা ছাড়া চাকরি চাই, ‘অন্যায় কোটায় নিয়োগ পেলে, দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে’সহ কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শফিকুর ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের এ রায় হচ্ছে যুক্তিহীন ও বৈষম্যমূলক। কানাডায় কোনো কোটা পদ্ধতি নেই, মাত্র ৫% কোটা আছে পাশের দেশ চীন ও ভারতে। বাংলাদেশের এতো উন্নয়নশীল দেশ হয়েও ৫৬% কোটা দিচ্ছে যা চরম বৈষম্যমূলক। আমরা দ্রুত কোটা সংস্কার চাই।
বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম রেজা বলেন, কোটা বাতিল হোক এমনটা আমরা চাই না। কারণ কোটার বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। তেমনি সংবিধানে এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকবে। সমাজের দৃষ্টিতে যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয় তাদেরকে কোটার আওতাভুক্ত করা সংবিধান বহির্ভূত। আমরা চাই অতিদ্রুত কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আমান উল্লাহ খান বলেন, আমরা কোটা সংস্কার না, কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবি জানাচ্ছি। আমরা দুই দফা দাবি আদায়ে এ আন্দোলনে নেমেছি। প্রথমত, একটি প্যানেল গঠনের মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে সংস্কার করে ১০ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানাচ্ছি। দ্বিতীয়ত, কোটাধারী শিক্ষার্থীরা জীবনে একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবহার করলে চাকরিতে আর কোটা ব্যবহার করতে পারবে না। কোটায় যদি কোনো যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যায় তাহলে মেধা দিয়ে তা পূর্ণ করতে হবে। আমাদের এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কোটা আন্দোলন চলমান থাকবে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী এ অবস্থান কর্মসূচিতে অবস্থান নেন।