টলিউডে একসময় দাপিয়ে কাজ করেছেন সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। তবে বর্তমানে টলিউডের পর্দায় খুব একটা পাওয়া যায় না তাকে। রাজনীতির ময়দানে পা রেখে এই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কি না তা স্পষ্ট নয়।
কারণ টলিউডের এমন অনেক মুখ রয়েছে, যারা প্রথম সারিতে কাজ করে চলেছেন, অথচ সমান তাহলে রাজনীতির ভার বহন করে চলেছেন। রাজ চক্রবর্তী, দেব, মিমি চক্রবর্তী এমন নামের অভাব নেই।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জিকে নিরাশ করেননি সায়ন্তিকা। বিজেপির অন্যতম পরিচিত মুখ সজল ঘোষকে পরাজিত করেন তিনি। সহজ ছিল না সায়ন্তিকার এই জয়। জয়ের পরেও লড়াই থামেনি। রাজ্যের দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা।
রাজ্যের দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। রাজভবনে শপথগ্রহণে অনীহা দেখান মমতার দলের দুই সংসদ সদস্য। সেই জট অবশেষে কাটবার মুখে। এর মাঝেই সায়ন্তিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পা ফুলে যাওয়ার ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ওটা ভাগ্যের জোরে জয় নয়, কঠোর পরিশ্রমের ফসল’।
পা ফোলা ছবি প্রসঙ্গে সায়ন্তিকা বলেন, ‘প্রচুর হেঁটে হেঁটে পা ফুলে গিয়েছিল। কষ্ট করেছি বলেই কেষ্ট মিলেছে। অনেকেই ভাবেন অভিনেত্রী বলে মানুষের কাজ করতে অপারগ। কিন্তু বরানগরের মেয়ে হয়ে উঠতে লড়াই করতে হয়েছে আমাকেও।’
গত ২৬ জুন রাজভবনে বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নিয়ম বিরুদ্ধ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ করে তৃণমূল বিধায়করা জানিয়ে দেন, তারা বিধানসভায় শপথ নিতে আগ্রহী। সেই থেকেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের সূত্রপাত। বৃহস্পতিবার জয়ের মাসপূর্তির দিনেও বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির নিচে ধরনায় বসেছিলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলার বিধায়ক রায়াত হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে প্রথমবার টিকিট পান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রিশেখরের কাছে ভোটে হারলেও জমি আঁকড়ে পড়েছিলেন বাঁকুড়ায়। সেই নিষ্ঠা দেখে অভিনেত্রীকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক করা হয়।